পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२: श्र; ] উষ্ণোৎস ও নদনদী। 8ቐ শেষভাগে ষবুনার উৎপত্তি হইয়াছে ; কিন্তু কালিকাপুরাণে এই নদীর উল্লেখ পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। তৎকালে ইহা দিব্যযমুনা নামে পরিচিত ছিল ! কালিকাপুরাণে লিখিত আছে— “প্রাগেব দিব্য যমুনাং সত্যন্ত ব্ৰহ্মণ: স্বতঃ। পুনঃ পততি লৌহিত্যে গত্বা দ্বাদশ যোজনম্’। কালিকাপুরাণ ৮৩ অধ্যায় ৩৫ শ্লোক । কোনও সময়ে অতিবর্ষানিবন্ধন মাঠে জলপ্লাবন উপস্থিত হইলে জনৈক কৃষক পরিবারের দ্বাবিংশতটি লোক প্রত্যেকে এক এক থানা কোদালী সহ কৃষিক্ষেত্রে উপনীত হয়, এবং বপন কাৰ্য্য অচিরে সম্পন্ন করিবার জন্য পদ্মা-যমুনাভিমুখস্থ ভূখণ্ড খনন পূর্বক ক্ষেত্র হইতে জল নির্গমনের পথকরিয়া দেয়। বর্ষার পূর্ণতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে যদুনার প্রবাহ ব্ৰহ্মপুত্রেরদিকে মন্থর গতিতে চলিয়া এই পয়ঃপ্রণালীর সাহায্যে দ্রুতবেগে পদ্মায় পতিত হইতে থাকে ; এবং ২৩ বৎসর মধ্যে এইরূপে পদ্মা-যুবুনার সংযোগে বছগ্রাম ও প্রান্তর স্বীয় কুক্ষিগত করতঃ অত্যন্ত প্রশস্ততা লাভ করে। বাইশকোদালে প্রথম উদ্ভৰ বলিয়া উহ। “বাইশকোদালিয়” নামে পরিচিত হইয়া উঠে। ১৭৮৭ খৃঃ অন্ধের প্রবল বস্তায় ব্ৰহ্মপুত্রের প্রধাহ পরিবর্তন ইলে তিস্তা নদী গঙ্গা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া ব্ৰহ্মপুত্রের সহিত মিলিত হয়। এই প্রবাহ যমুনার মধ্য দিয়া নূতন পথ প্রাপ্ত হইয়াছিল। বর্তমান সময়ে ইহাই ব্ৰহ্মপুত্র অথবাযবুনার প্রধান প্রবাহ । তুরাগ-এই নদী ময়মনসিংহ জেল হইতে আসিয়া দরিয়াপুরের নিকটে ঢাকা জেলায় প্রবেশ লাভ করিয়াছে। তথা হইতে