পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• را হওয়া যায়, খড়গবংশীয় রাজা দেবখঙ্গের শাসন সময়ে श्रानब्रक्शूद्रब्र অনতিদূরবর্তী স্থানে "বুদ্ধমণ্ডপ” প্রতিষ্ঠিত ছিল। উহারই সন্নিকটস্থত “বিহার বিহারিক চতুষ্টয়’ একগণ্ডীভূক্ত করিয়া কুমার রাজরাজ ভট্টের আয়ুষ্কামনার্থে আচাৰ্য্যবন্যকে দশ দ্রোণাধিক নব পাটকভূমি প্রদান করা হইয়াছে। অপর শাসন ভূমি "ভূত্রয়োদ্দেশ্রে” শালিবর্দকস্থিত আচাৰ্য্য' সংঘামিত্রের বিহারে প্রদত্ত হইয়াছে। পরমলেীগত পুরোদাস কর্তৃক তাম্রফলক উৎকীর্ণ হইয়াছে। ইদিলপুরের নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসন পাঠে জানা যায়, ঐবিক্রমপুর সমবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে পরমসেীগত মহারাজাধিরাজ ঐত্ৰৈলোক্যচন্দ্র দেব পাদানুধ্যাত পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ শ্রমান ঐচন্দ্র দেব কুশলী সতট পদ্মবাট বিষয়ান্তর্গত কুমার তালক মণ্ডল মধ্যবৰ্ত্তী লেলিয়া গ্রাম দান করিয়াছেন । বঙ্গ সাহিত্যে লব্ধ-প্রতিষ্ঠ প্রথিত-যশাঃ ঐযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় বলেন, বাজাসনের পার্শ্ববৰ্ত্ত নান্নার গ্রাম মুণ্ডিতশীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুর বাসস্থান ছিল। মুণ্ডিত-মস্তক পুরুষকে এতদঞ্চলবাসী জনগণ এখনও “মাইন্নামুল্লা” বা মধুই “নাইয়া” এবং উক্ত রূপ স্ত্রীলোককে “নারীমুন্নী” বা মুধুই “নানী” বলিয়া থাকে। প্রাচীন বাঙ্গল সাহিতো “নও মুণ্ডা” শব্দ অনেকস্থলেই দৃষ্ট হয় । আধুনিক চলিত ভাষায় “নাড়া মুড়া”। “নান্না” ও “নারী” শব্দ ঐ অপভ্রংশ “নাগু মুণ্ড” শব্বের বিকৃতি। এই ‘নান্ন।” ও “নান্নী” হইতে নান্নার গ্রামের নামকরণ হওয়া অসম্ভব নহে। নান্নারও স্বয়াপুরের সন্ধিস্থলে যে সমুদয় উচ্চ মৃৎস্তুপ পরিদৃষ্ট হইয়া থাকে, ভাহাতে এক সময়ে স্ববৃহৎ বৌদ্ধবিহার অবস্থিত ছিল । এই বিহারের নাম ছিল "বাজাসন” বা “বজ্রাসন” বিষ্কার । বিশালপ্রস্তর-স্তম্ভ-মাল-শোভিত যে হৰ্ম্মারাজি একদা এই