পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و أولا এজন্য বাদশাছের দেওয়ান রায় ভগবতী দাসের হস্তে রাজস্ব সম্পৰ্কীয় যাবতীয় কাৰ্য্যভার অর্পিত হয় এবং রাজকীয় জটিল বিষয়ের সুমীমাংসার ভীর খাজা ভগবানদাস “মুজাইর” হস্তে ন্যস্ত ছিল । তৎকালে মহম্মদ মকিম রাজকীয় নৌবিভাগের দ্বারোগ পদে সমাসীন ছিলেন বলিয়৷ ঐতিহাসিক সিহাবুদিন তালিস লিখিয়াছেন। এই সময়ে মহম্মদ মকিম ঢাকা নগরীতে যে একটী “কাটরা” নিৰ্ম্মাণ করেন, তাহ অদ্যাপি “মকিমের কাটরা” নামে সুপ্রসিদ্ধ। নবাব জাফর খাঁ। (ইনি ইতিহাসে কাতরলৰ খ ও মুরসিদকুলী ধ" নামে প্রসিদ্ধ ) ঢাকা নগরীতে একটি মসজিদ ও বাজার নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। উক্ত মসজিদটী জাফর মসজীদ নামে খ্যাত। উছা ১৮২০ খৃঃ অস্বে মুর্শিদকুলীৰ্থার উত্তরাধিকারী গুজনফার হুসেন খাৱ কন্যা হাঙ্গী বেগমের তত্ত্বাবধানে ছিল বলিয়া তারিখ-ই-নসরৎজঙ্গ-ই গ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছে। গড় কাশিমপুর হইতে কিয়দর অবস্থিত “জরুন" এবং "মুরাবাড়ী" নামক স্থানদ্বয়ে পালবংশীয় যশোপাল রাজার কীৰ্ত্তিকলাপের অনেক কিছু বিদ্যমান আছে। কতিপয় বৎসর অতীত হইল জরুন গ্রামে মৃত্তিকা ভ্যঞ্জর একটি প্রাচীরের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয় ; পরে মৃত্তিক খনন করিলে ভূগর্তস্থিত বহু অট্টালিকার ভগ্নস্তুপ লোকলোচনের গোচরীভূত হইয়াছে। স্থানীয় প্রবাদ এই যে, এই স্থানে রাজা যশোপালের অষ্ঠতর বাসভবন ছিল। মুরাবাড়ী গ্রামেও একটী অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ ভূগর্ভ মধ্যে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এতদ্ব্যতীত “বড়ইবাড়ী” গ্রামে যশোপালের বহু কীৰ্ত্তি চিহ্লাদি পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। এই স্থানটা তুরাগ নদীর অতি উত্তরে সংস্থিত। একটা সমুন্নত মৃত্তপের উপরে প্রাচীন কীর্তি কলাপের বহু নিদর্শন অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে।