পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• عالا ( ধাইল ) নামক স্থানে উপনীত হন। রেণেল ধাইদার "উচ্চ শ্বেতবর্ণ মঠ” টি সনদর্শন করিয়াছেন বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে । ঐ স্থান হইতেই তিনি মীরগঞ্জ (তালতলা) ও ইছামতী নদীতে উপনীত হন । তালতলায় পুলের নিম্ন দিয়া তাহার বজরা অনায়াসে বাহির হইয়া গিয়াছিল। মীরগঞ্জ হইতে ধলেশ্বরী নদী অতিক্রম করিয়া বুড়িগঙ্গার মুখে পৌছিতে তাছাকে বিশেষ আয়াস স্বীকার করিতে হয় নাই। রাজাবাড়ীর ৫,৬ মাইল দক্ষিণে চণ্ডিপুর বা লড়িকুলের খাল আরম্ভ চুইয়াছে বলিয়া তিনি লিখিয়াছেন। মেঘনাদ হইতে, লড়িকুল এবং রাজনগরের পথে, গঙ্গানগর বা চিকন্দীর নিকটে, পায় প্রবেশ লাভ করিবার উহাই একমাত্র সোজা পথ বলিয়া বিবেচিত হইত। চণ্ডীপুর চইতে চিকন্দ্বী ১১ মাইলের অধিক দূরবর্তী ছিল না। পদ্ম ও মেঘনাদ এই উভয় নদী এতাদৃশ সান্নিধ্যে প্রবাহিত থাকা সত্বেও প্রায় ১• মাইল পথ অতিক্রম করিয়াই সম্মিলিত হইতে পারিয়াছিল। লড়িকুলের থালের জলরাশি পর হটতে মেঘনাদ অভিমুথে প্রবাহিত হইলেও মেঘনাদের উচ্ছসিত স্রোতোপ্রাবল্য চিকনীর খালের প্রবাহ পরিবর্তন সংঘটিত হয় নাই ; উহা বরাবর পূর্ববাহিনীই ছিল। রাজাবাড়ীর সন্নিকটে, নদীগর্ভে, বহু দ্বীপ ও বালুকাময় চড়াভূমি বিদ্যমান ছিল। দ্বীপসমুহ গঠিত হওয়ায় পদ্মার আয়তন অপেক্ষাকৃত খৰ্ব্বতা প্রাপ্ত হইলেও চণ্ডীপুরের সন্নিকটে নদীর প্রশস্ততা শীতকালেও ৭॥• মাইল ছিল বলিয়া তিনি নির্দেশ করিয়াছেন। এই চণ্ডীপুর চাইতে মুলফৎগঞ্জ, লড়িকুল, জপসা, রাজনগর ও চিকন্দী প্রভৃতি স্থান অতিক্রম করিয়াই তাহাকে গঙ্গানগণের খালে প্রবণ করিতে হইয়াছিল। জপসার অভ্ৰভেদী মঠট পদ্মা ও মেঘনাদ এই উভয় নদী হইতেই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইত বলিয়। তিনি লিখিয়াছেন।