পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩শ অঃ ] শিল্প। శిరిd সন্নিহিত কতিপয় স্থানে সুবৃহৎ মৃন্ময় তৈলাধার নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে ; উছ সাধারণতঃ “মটুকী" নামে পরিচিত। এক একটা মটুকী এরূপ প্রকাও যে তাহাতে ৪•/ চল্লিশমণ পয্যন্ত তৈল রাখিতে পারা যায়। এতদ্ব্যতীত ক্ষুদ্রায়তনেরও নানাবিধ পাত্র প্রস্তুত হইয়া থাকে। মৃন্ময় “মোড়া” “ভাধি” ও “চার” প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ জন্যও এই স্থান প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। ঢাকার মৃত্তিক মৃৎশিল্পের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। মাটর গাথুনীতে প্রকাও অট্টালিকাদিও সচরাচর নিৰ্ম্মিত হইয়া ৰাকে ; উহ! ‘কাচাগাথনী” বলিয়া পরিচিত। উংকৃষ্ট চূর্ণকাম কারবার জন্ত ঢাকার রাজমিস্ত্রীগণ প্রসিদ্ধ। এই Ha rin (stucco panelling) RRR Mttnz খ। এই স্থানে প্ৰবৰ্ত্তিত করেন বলিয়া উহা সায়েস্তাথানি চুণকাম বলিয়া পরিচিত। নর্থব্রুকহলে এই চূণকামের দৃষ্টান্ত প্রদর্শিত হইয়াছে। ( দ) বেত্র ও বংশ নিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদি। ঢাকা জেলার নানা স্থানে বিশেষতঃ নবাবগঞ্জ থানার এলাকাভূক্ত স্থান সমূহে বঁাশও বেত্র নিৰ্ম্মিত কুল, ডালা, বচন, মোড়া, ছোট, পল, ডুল, ঝাকা, ধাম প্রভৃতি দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইয়া থাকে। সাধারণতঃ বেদিয়াগণই এই সমুদয় জিনিষপত্ৰ নিৰ্ম্মাণে সুদক্ষ। এতদ্ব্যতীত এই জেলায় নল ও মোতরা নিৰ্ম্মিত চাচ ও শীতল পাটীও বহুল পরিমাণে প্রস্তুত হয়। মালীটোল, লক্ষ্মীবাজার ও কুমারটুলীর চর্শ্বকারগণ উংকৃষ্ট জুতা প্রস্তুত করিতে পারে। ঢাকায় বিস্তৃত চৰ্শ্বের বাবগা আছে। প্রতিবৎসর বহুলক্ষ টাকার চর্শ্ব এখান হইতে কলিকাতা হইয়া ইউরোপে প্রেরিত হইয়া থাকে।