পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪শ অঃ ] স্থাপত্য ও ভাস্কৰ্য্য। ఫిలిపి হয় না। বিশেষতঃ তাহা হইলে স্বীকার করিতে হয় যে তৎকালে বঙ্গীয় জনসাধারণ প্রত্যেকেই তাহাদিগের নিত্য আরাধ্য দেবতার মূৰ্ত্তির জন্ত অষ্ঠের মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিত। বঙ্গদেশের পত্যেক পল্লিতে পল্লিতে, এরূপ কত অসংখ্য মূৰ্ত্তি লোকলোচনের অন্তরালে রচিয়াছে তাহার ইয়ত্তা কে করিবে । বিবিধ কারুকার্য খচিত ক্ষুত্র ক্ষুদ্র প্রস্তর ও ইষ্টক থও সাভার অঞ্চলের অরণ্য মধ্যে এখনও প্রাপ্ত হওয়া যায়। উছা যে নবম কি দশম শতাব্দীর ভাস্কৰ্য্য শিল্পের নিদর্শন তষিয়ে সন্দেহ নাই । তালতলা ও মীরকাদিমের খালের উপরে যে দুইটা পুল দৃষ্ট হইয় থাকে উহা বল্লালী পুল বলিয়া সাধারণ্যে সুপরিচিত। সেনরাজগণের সময়ে হিন্দু স্থাপত্য যে কতদূর উন্নত ছিল তাই এই পুল দুইটার নির্মাণকৌশল সন্দর্শন করিলেই স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম হয়। রোনীয় স্থাপত্য ও গ্রীক হৰ্ম্ম নিৰ্ম্মাণ প্রণালীর তুলনায় মোসলমানের কীৰ্ত্তি লযুক্তর হইলেও নানা স্থানের মঞ্চবের, মসজিদ, কাটরা, গঙ্গর খান, দুর্গ প্রভৃতি তাৎকালিক স্থপতির অসাধারণ নিৰ্ম্মাণকৌশল প্রদর্শন করিতেছে। পরিবিবির সমাধি-মন্দির, সাতগুম্বজ মসজিদ, বড়কাটরা, ছোটকাটরা, ইমামবাড়া প্রভৃতি মোগলের উন্নত স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন। মহারাজ রাজবল্লভের কীৰ্ত্তিনিকেতন রাজনগরের নবরত্ন, পঞ্চরত্ন, সপ্তদশরকু একবিংশ রন্থ, প্রভৃতি গগনচুৰি সোঁধাবলি গোদর্ঘ্যে ও স্থপতি কৌশলে তৎকালে সমগ্র বঙ্গদেশের শীর্ষ স্থানীয় ছিল। লীলাকীৰ্ত্তি নারায়ণের প্রতিষ্ঠিত বুরুজ, অসাধারণ ধীশক্তি সম্পন্ন vকৃষ্ণদেব সেনের নিৰ্ম্মিত যাত্রাবাড়ীর গুগ, দেওয়ান দৰ্প নারায়ণের পঞ্চরত্ন প্রভৃতি মনোরম জটালিকা অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্য শিল্পের প্রকৃষ্ট নিদর্শন।