পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯শ অ; } বিবিধ । శిసెt চলিলে ঢাকা ও ময়মনসিংহ এই উভয় জেলারই পাট উৎপাদনোপযোগী স্থানসমূহ রেলপথের অনতিদূরে থাকিত। পক্ষান্তরে, লাক্ষ্য-তীরবর্তী স্থানসমূহের জলবায়ু অতিউত্তম ; নৈসর্গিক সৌনর্যাগৌরবে এই স্থান নিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; বহুসংখ্যক নদী নালা এই স্থান দিয়া প্রবাহিত হওয়ায় জলপথে যাতায়াতেরও খুব সুবিধা । এই স্থানের সন্নিকটেই স্বাধীন পাঠানরাজগণ বহুকাল পর্যন্ত অবস্থান করিয়া গিয়াছেন ; ইতিহাসপ্রসিদ্ধ ঢাকার মসলিন এই স্থানেই প্রস্তুত হইত। যৎসামান্ত চেষ্টাতেই লাক্ষ্যানদীর উভয় তীরবর্তী স্থানসমূহকে উন্নত বনারে এবং নিকটবর্তী বনভূমিকে তুলা ও ইক্ষুক্ষেত্রে পরিণত করা অনায়াসসাধ্য ছিল। রেল কর্তৃপক্ষ প্রকৃতির এই অযাচিত দান উপেক্ষা করিয়া মধুপুর অরণ্যানীর অন্তর্গত কর্ষণের অনুপযোগী পরিত্যক্ত ভূমি নিৰ্ব্বাচন করিয়াছেন। সুতরাং এই রেললাইনের আয় আশানুরূপ হইতেছে না। জাফরগঞ্জ হইতে আরম্ভ করিয়া ঘিয়র, বেউথা, কারা, কলাকোপা, নবাবগঞ্জ, করিমগঞ্জ, শেখরনগর, তালতলা, মীরকাদাম, ইয়া মুন্সীগঞ্জ পর্য্যন্ত একটা রেললাইন হইলে সৰ্ব্বসাধারণের বিশেষ সুবিধা হইতে পারে, এবং আয়ের পরিমাণও যথেষ্ট হইতে পারে বলিয়া আশা করা যায়। পূৰ্ব্ববঙ্গের স্তায় নদীবহুল দেশে রেলপথের আবগুকতা অতি সামান্ত মাত্র। খালগুলির সংস্কারসাধন এবং ক্ষীণতো নদনদীর পঙ্কোদ্ধার করিলেই বাণিজ্যব্যবসায়ের উন্নতিসাধন হইতে পারে। এতদুদেণ্ডে তালতলার খাল ও হরিশকুলের খালের সংস্কার এবং প্রাচীন ইছামতী নদীর পক্ষোদ্ধার করিলে অনেক সুবিধা হইতে পারে ।