পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*. ঢাকার ইতিহাস । স্থাপন পূৰ্ব্বক এতদঞ্চল শাসন করিতেন। পালবংশীয়গণ বিক্রমপুরে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিস্তারের জন্ত বিস্তর প্রয়াস পাইয়াছিলেন। বিক্রমপুরের নানাস্থান হইতে প্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধমূৰ্ত্তিগুলি এই বিষয়ের জলন্ত নিদর্শন। শত শত বৌদ্ধবিহার, সজারাম ও চৈত্য হইতে বৌদ্ধদেবের অমৃত, নিঃস্তন্দিনী বাণীর প্রতিধ্বনি প্রত্যহ শ্রত হইত। বৰ্ম্মবংশীয় জ্যোতিধৰ্ম্ম, হরিবর্ম ও হামল বর্ষার নাম প্রাপ্ত হওয়া যায়। হরিবর্ধার ৪২ বর্ষান্তি একথান তাম্রশাসন সামন্তসার গ্রামে পাওয়া গিয়াছে। রাঘবেন্ত্র কবিশেখর রচিত ভবভূমিবাৰ্ত্তাপাঠে জানা যায়, হরিবর্শ্ব দক্ষিণাপথ হইতে আসিয়া বিক্রমপুরে রাজ্য স্থাপন করেন। বিক্রমপুরের জোড়াদেউল, রাউংভোগ, স্বয়াসপুর, দেওলায়, সোনারং, চুড়াইন, কুমারভোগ, কুমরপুর, বজ্রযোগিণী, বেলিীলা, তেলিরবাগ প্রভৃতি স্থানে দেউল বাড়ী ছিল বলিয়া অবগত হওয়া যায়। ঐ সকল স্থানে বৌদ্ধ সংঘারাম ছিল বলিয়া কেহ কেহ অনুমান করেন। কিন্তু স্থানীয় কিম্বদন্তী অন্ত প্রকার। সেন রাজগণের রাজধানী রামপাল ও তৎসন্নিহিত স্থান খনন করিলে বাঙ্গালার ইতিহাসের অনেক লুপ্ত রহস্ত উদঘাটিত হইতে পারে। পালবংশীয় পরমসৌগত রাজা নারায়ণপাল তদীয় রাজত্বের সপ্তদশত বর্ষের ৯ই বৈশাখ একখানা তাম্রশাসন দ্বারা তীরভূক্ত (ত্রিহুত) প্রদেশে অন্তর্গত মকুয়াতি গ্রাম পাশুপত আচার্য্যের শিষ্য শিবভট্টারককে প্রদান করেন।, নারায়ণপালের মন্ত্রী ভট্টগুরবমিশ্র ইহার শ্লোক রচনা করেন। সমতটবাসী শুভদাসের পুত্র মদ্যদাস কর্তৃক ইহা উৎকীর্ণ হইয়াছিল। অতঃপর সেনবংশীয় রাজগণ বিক্রমপুরের শাসনদও পরিচালন করিয়াছিলেন। লঘুভারত পাঠে অবগত হওয়া যায় মহারাজ লঙ্ক সেন ধিক্রমপুয়েই ভূমিষ্ঠ হন। ইতিহাস-প্রসিদ্ধ রামপাল নগরী