পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆԵ. ঢাকার ইতিহাস। [ ॰व १: স্বয়ং ব্রহ্ম, তাহার নাম রাখিলেন লোহিত। লোহিত সরোবর হইতে নিঃস্থতবলিয়া উহার আর একটি নাম লৌহিত্য। ব্রহ্মপুত্র নদ, জলরাশি দ্বারা সমস্ত কামৰূপ পীঠ প্লাবিত ও সৰ্ব্বতীর্থ গোপন করিয়া দক্ষিণ সাগরের অভিমুখে চলিয়াছে” । মহা প্রস্থান কালে অর্জুন উদয়াচলের প্রান্তস্থিত লৌহিত্য সাগরে গাণ্ডীব ত্যাগ করিয়াছিলেন। এক্ষণে, উদয়াচলের প্রান্ত সীমা কতদূর পৰ্য্যন্ত প্রসারিত ছিল তাহ নিঃসন্দিগ্ধ চিত্তে বলা যায় না। কেহ কেহ অনুমান করেন ব্ৰহ্মপুত্রের পশ্চিমতীরবর্তী ভূভাগ এই লৌহিত্য সাগর গর্ভে বিলীন ছিল। তাহা হইলে বলিতে হয়, বর্তমান ময়মনসিংহ জেলা সহ বঙ্গের অধিকাংশ স্থানই লৌহিত্য সাগরের কুক্ষিগত ছিল। মেঘনাদ—মেঘনাদ নদ ময়মনসিংহ জেলার পূর্বসীমা দিয় প্রবাহিত হইয়া ঢাকা জেলার পূৰ্ব্বোত্তর সীমায় ব্ৰহ্মপুরের সহিত মিলিত হইয়াছে। এই সম্মিলিত প্রবাহই মেঘনাদ নামে পরিচিত। মেঘনাদ অতঃপর ঢাকা জেলার পূৰ্ব্বসীমা রক্ষা করতঃ দক্ষিণবাহিনী হইয়াছে। এই নদী দ্বারা ত্রিপুরা ও চাকা জেলার স্বাতন্ত্র্য রক্ষিত হইয়াছে। মেঘনাদের প্রবাহ ঢাক। জেলার দক্ষিণপূর্ব কোণে আসিয়া পদ্মার সহিত মিলিত হইয়াছে। ব্ৰহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল হইতে পার সঙ্গমস্থল পর্য্যন্ত মেঘনাদ প্রায় ৯০ মাইল দীর্ঘ। সাধারণতঃ কন্যপপুরের মোহানাই পূৰ্ব্বে পদ্মা ও মেঘনাদের সম্মিলন স্থান ছিল। গাড়ে, কাছাড় এবং শ্রীহট্টের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বহুসংখ্যক পাৰ্ব্বত্য স্রোতস্বতীর সম্মিলনেই মেঘনাদের উৎপত্তি হইয়াছে। এই সম্মিলিত প্রবাহ শ্ৰীহট্ট, ও ময়মনসিংহজেলাস্থিত নিম্নভূমি ও ঝিল সমূহের মধ্যদিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। সমুদ্রের উপরিভাগ হইতে মেঘনাদের উপরিভাগের উচ্চতার পার্থক্য অতি সামান্ত মাত্র। এ জন্তই মেঘনাদের