পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ব কথা । 5 ఫి ভারতবর্ষের ধৰ্ম্মচৈতন্তের উপনিষদযুগের মধ্যে যে নব জাগরণ দেখিতে পাই, তাতাতে বাহ বেদবিধান হইতে সত্যের প্রতিষ্ঠানকে একেবারে অন্তরের অন্তৰ্বামীতে সরাইয়ু লইয়া গিয়াছিল । " য এষঃ অস্তুর্যময়তি,” “ তৎসত্যং তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো ” “ একোবরী সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা ” “ একং রূপং বহুধা যঃকরোতি, ” তমাত্মস্থং যেনুহপশুস্তি ধীরাস্তেষাং সুখং শাশ্বতং নেতরেষমৃ " " নিতে নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানামেকে বহুনাং যোবিদধাতিকামান্‌ ” এই সমস্ত বাক্যাপলি পৰ্য্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে এই যুগের লোধিতে বাহ কৰ্ম্ম-কোলাহল হইতে বিশ্রাম লাভ করিবার জন্ত তাহারা অস্তুরের অস্তুর্যামীতে আসিয়া দাড় হলেন, জগৎটা তাহণদের নিকট হইতে যেন ক্রমশঃ সরিয়া পড়িতে লাগিল, জগৎকে জগতের মানুষকে, জগতের সমাজকে তাহারা তেমন ভালে গ্ৰহণ করিতে পারেন নাই । এই বোধকে পরিস্ফুট করিবার জন্ত বুদ্ধদেব অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । মীমাংসকদিগের বাহ্যিক কৰ্ম্মনিয়মে সত্যের প্রতিষ্ঠা, ও উপনিষদুদিগের অন্তর্যামীতে সত্যের প্রতিষ্ঠা, এই উভয়দিকে যতটুকু সত্য ছিল তাহ একত্র হইয়া