পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ব কথা।
১৯

প্রচ্ছন্ন সঞ্চার ভূমিটা চিরগোপনই রহিয়া যায়; আমি হয় ত এক স্থানে পাইয়াই ভাবি যে এইখানেই বুঝি তাঁর আরাম, তিনি বুঝি এইখানেই মাত্র থাকেন।

 তখন অমনি তিনি আর এক কুঞ্জ হইতে বাঁশী বাজাইয়া উঠেন, আর ভক্ত বৈজ্ঞানিকের উদ্বেলিত হৃদয়ে, অসম্বৃত বসন ভূষণে, নগ্নপদে তাঁহার উদ্দেশে ছুটিতে থাকেন। তিনি তাঁহার ক্ষেত্রের মাঝে মাঝে নিজেই আড়াল তুলিয়া রাখিয়াছেন এবং সেই আড়ালের ভিতর দিয়া আনা গোনা করিতেছেন। আমরা কখনও যমুনা তটে কখনও বংশীবটে কখনও বা মাধবীকুঞ্জে কখনও বা শ্যামকুঞ্জে কখনও বা দূরে কখনও বা সন্নিকটে তাঁহাকে দেখিতেছি, কিন্তু তিনি যে এক সময়েই সকল কুঞ্জে সঞ্চার করিতেছেন, ষোল শত গোপিনীর সহিত যে একই নিশায় বিহার করিতেছেন তাহ বুঝিতে পারি না। যেখানে আমরা থাকি তাহারই চারিদিকের আড়ালে আমাদের দৃষ্টি অবরুদ্ধ করিয়া রাখে অথচ সেই আড়ালের মধ্য দিয়াই তিনি তাঁহার গোপন মিলন সার্থক করিয়া তুলিতেছেন। প্রাণ চায় রে, ধেন সকল বাধা