পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
তত্ত্ব কথা।

মিথ্যাই বলুন আর যাই বলুন এটাতে মানতেই হোল যে এর মধ্যে একটা কার্য্য কারণের শৃঙ্খলা আছে একটা নিয়ম আছে, অথচ সে নিয়মটা, তাঁরা যেটাকে সত্য বলেছেন সেটা দ্বারা ঘটিয়ে উঠাতে পারলেন না, কাজেই সেই নিয়মটাকে ঘটিয়ে তোলার জন্য যে শক্তিটা দরকার সে শক্তিটাকেও তাঁদের মানতে হোল এবং সে শক্তিটাকে ঐ “জানিনা” বা অবিদ্যাটার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বল্লেন ওটার নাম মায়াশক্তি। এবং এই সঙ্গে সঙ্গেই যে অবিদ্যাটা পূর্ব্বে একটু অভাবাত্মক বা negative গোছের ছিল সেটাও যেন ক্রমশঃ positive বা ভাবাত্মক হয়ে উঠল। আগে যেন অবিদ্যাটাকে কতকটা এই ভাবে বলা হোত যে সে যেন “জানার” বাইরের একটা কিছু। জ্ঞান যেটা, সত্য যেটা, সেটা নয়; আর একটা কিছু, কি তা জানা নাই কাজেই এরকম ভাবের বোঝাটা যেন কতক্‌টা negative রকমের ছিল। ক্রমশঃ সেই অবিদ্যাটা একটা ভাবাত্মক positive শক্তি হয়ে দাড়াল। আর সেই শক্তিটার সহিত জ্ঞানের সহযোগে, জ্ঞানের সঙ্গে তার সংক্রমণে