পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
তত্ত্ব কথা।

সঙ্গে সঙ্গে এটাও ফুটে উঠে যে সেই মানবজাতিটা মানব সমাজ নয়। যতই বড়র দিকে যাবে ততই দেখ্‌বে যেন সেটা ক্রমশঃ তোমার কাছে একটু একটু অস্পষ্ট বলে মনে হবে, আর যেই একটু একটু করে নেমে আসবে সেই দেখ্‌বে যে ক্রমশঃ সব স্পষ্ট হয়ে উঠ্‌ছে। যতক্ষণ মানবজাতির মধ্যে ভাবা যাইতেছিল ততক্ষণ যেন সেটা কিছুই বুঝিতেছিলাম না। যেই সমাজের মধ্যে এলেম সেই দেখলাম্‌ যে হাঁ এ জিনিষটা অনেকটা বোঝা যায় বটে। এইরূপ ক্রমশঃ ক্রমশঃ আমরা যখন এসে ব্যক্তিতে পড়লাম, তখন দেখলাম যে তার মধ্যে ক্রমশঃ ক্রমশঃ সবই স্পষ্ট হয়ে আসছে। মানবজাতির মধ্য দিয়া সে যখন ফুটে উঠ্‌ছিল, সে যেন মনে করেছিল, যে সে যে কি পদার্থ তা যেন সে বুঝিয়ে উঠতে পারে নাই। সে জানিয়ে দিতে পারে নাই যে সে কি। তাহার মধ্যে যে সত্যটি লুকিয়েছিল সেটা যে সত্য, তার যে প্রসার সমস্ত বিশ্ব বেপে রয়েছে তা সে মোটেই বোঝাতে পারছিল না। তাই সে ক্রমশঃ তার মধ্যে যেটা অস্পষ্ট ছিল, যেটা সঙ্কুচিত ছিল, যেটা বাধা ছিল, সেটাকে ক্রমশঃ ক্রমশঃ ফোটাতে চেষ্টা করতে লাগ্‌ল,