পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
তত্ত্ব কথা।

প্রভৃতি পুরস্কারে ইন্দ্রিয়বৃত্তিলব্ধ সামগ্রী বিভিন্ন প্রকারে সাজান এবং গ্রথিত হইয়া নিত্যানুস্যূত আমিত্ববোধের সহিত এক হইয়া প্রকাশ পাইতেছে। তৃতীয়টির মধ্যে দেখা যায়, যে, সেখানে বাহ্যজগৎ, আত্মা এবং ঈশ্বর সম্বন্ধে এমন অনেকগুলি ধারণা রহিয়াছে যাহা ইন্দ্রিয়বৃত্তি বা বুদ্ধিবৃত্তির মধ্যে পাওয়া যায় না। অথচ জ্ঞাতার প্রত্যয়সঞ্চয় খুঁজিয়া দেখিলে এ গুলির সন্ধান পাওয়া যায়। এই ধারণাগুলি সত্য কি মিথ্যা বলা যায় না, কারণ সে স্তরের বিচার করিতে গেলেই নানা স্ববিরোধ উপস্তিত হয়। শুধু এই টুকু মাত্র বলা যায় যে, যখন এই নূতন ধারণাগুলি, কি ইঞ্জিয় বৃত্তি, কি বুদ্ধিবৃত্তি, কাহারই বিষয় নয়, অথচ এগুলি যে আমাদের মনের মধ্যে রাহিয়াছে সে সম্বন্ধেও যখন কোনও সন্দেহ নাই তখন ইহা মানিতেই হইবে যে ইহাদের আধারস্বরূপ একটা স্বতন্ত্র বৃত্তি রহিয়াছে। সেই বৃত্তির তিনি নাম দিয়াছেন চৈতন্য বা Reason.

 বাহ্যবস্তু যে কি তাহা Kant জানেন না। সেটা একেবারে অজ্ঞেয়। অথচ সেটার সত্তা তিনি অস্বীকার করিতে পারেন নাই। কিন্তু আমাদের