পাতা:তত্ত্ববিচার.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ববিচার।

সমস্তই ধুইয়া যায়; সুতরাং গঙ্গায় নাইবার আগে আর গা ধুইবার বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইবার প্রয়োজন নাই। ভগবৎ-চরণে শরণ হইলে সমস্ত দোষই দূর হইয়া চিরদিনের অভাব বিনষ্ট হয়, এবং জন্ম-জীবনের সমস্ত সার্থকতাই সিদ্ধ হইয়া যায়। যাঁহার আদি অন্ত ভাবিয়াও পাওয়া যায় না, তাঁহাকে নিজ ক্ষুদ্র হৃদয়ে ধারণের বৃথা চেষ্টা না করিয়া তাঁহাতেই ডুবিয়া যাও—আশা মিটিবে তবুও অন্ত পাইবে না, বিষয় আর কুত্রাপি দৃষ্ট হইবে না; বৈরাগ্যের উগ্রমূর্ত্তি আর দেখিতে হইবে না, উহা ভগবৎ কৃপায় স্বতঃএব তোমার চরণ চুম্বন করিবে। যত পরিমাণে ভগবানে অনুরাগ জন্মিবে, বিষয়ে তত পরিমাণে বৈরাগ্য হইবে।


সাধুসঙ্গ ও বিবেক।
(স্বামীজী প্রদত্ত “অন্ধের ষষ্টি” নামক বক্তৃতা হইতে সংগৃহীত।)

“সৎসঙ্গশ্চ বিবেকশ্চ নির্ম্মলং নয়নদ্বয়ম্।
যস্য নাস্তি নরঃ সোহন্ধঃ কথং নাপদমার্গগঃ॥”

 সৎসঙ্গ ও বিবেক এই দুইটী মানবের নির্ম্মল চক্ষু। যাহার এই দুইটী চক্ষু নাই, সে ব্যক্তি অন্ধ; সে কেন না কুপথে গমন করিবে? যাহা সুপথ, অন্ধ তাহা স্বয়ং দেখিতে পায় না; সুতরাং কুপথে যাওয়া তাহার স্বভাবসিদ্ধ। সৎসঙ্গ ও বিবেক, এই দুইটীব মধ্যে একটী চক্ষুও যাহার থাকে, সেও পথ দেখিতে পায়; কিন্তু যাহার একটী চক্ষুও নাই, সে সুপথে যাইবে কিরূপে? বিবেকলাভ করা ত জন্ম-জন্মান্তরীণ সুকৃত-সাধ্য। চেষ্টা করিলে সৎসঙ্গ সুলভ হইতে পারে; সৎসঙ্গের দ্বারা জীব অনায়াসেই আবার বিবেক, লাভ করিয়া থাকে। কলির