পাতা:তত্ত্ববিচার.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ববিচার।
১৯

রাগিণী ললিত—তাল আড়াঠেকা।

জাগরে নিদ্রিত জীব ঘুমাইবে আরও কত।
চেতন হয়ে দেখ চেয়ে শিয়রে কাল সমাগত॥
পেয়েছ মনুষ্য-কায়া, ত্যজরে বিষয় মায়া,
লয়ে মিথ্যা সুতজায়া, দিনে দিনে দিন গত॥
কুবাসন পরিহরি, সদা বল হরি হরি,
বহিবে প্রেমলহরী হৃদে অবিরত॥
পূর্ণ হবে সব কামনা, রবে না আর ভয় ভাবনা,
পরিব্রাজকের রসনা, হরিগুণ গাও সতত॥

রাগিণী লগ্নী—তাল জৎ।

(সুর “নির্ম্মল সলিলে বহিছ সদা তটশালিনী সুন্দরী যমুনে ও”)
চঞ্চল মানস বিনাশ আশাপাশ বিরস বিলাসবাসনা রে।
বিষয়বিভবে, মত্ত কি হইলে, ভুলিলে ভুলিলে আপনারে;
আসিয়া জগতে, অীরোহি মনোরথে, ভ্রমছ কি ভাবে ভাব না রে॥
দেখিতে দেখিতে, কাল প্রবাহে, জীবন যৌবন যাইল রে।
ক্রমে ধীরে ধীরে, গভীর কালনীরে, ডুবিবে তাকি মন জান না রে॥
কা তব কান্তা, কস্তে পুত্র, কস্য ত্বং বা ব্রহ্মবিচারে;
চিন্তয় কোহহং কথং জগদিদং, কেন কৃতা বিশ্ব-রচনা রে॥
ভূমানুসন্ধান, কর মূঢ় মন, মলিন বাসন রবে না রে।
হও ধ্যাননিরত, তুর্য্যাবস্থাগত, কুরু চিংস্বরূপম্‌ ধারণা রে॥