পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eיכר ל הוא הסזאי अ** उन्नङि त्नांड कटघ्न मांझे । भइांज्र রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের কর্তৃত্বাধীন যখন আমরা কড়িপয় বন্ধু একত্রিত হইয়া ব্রাহ্মধর্মের পুনরান্দোলন আরম্ভ করিলাম, তখন ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এক ক্ষুদ্র গৃহের চতুঃপ্রাচীরের মধ্যে বন্ধ ছিল, এক্ষণে দেশে দেশে নগরে নগরে গ্রামে গ্রামে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আন্দোলন হইতেছে, ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হইতেছে, ব্রহ্ম নাম নিনাদিত হইতেছে । লোকে যেমন কোন স্থানে বিদ্যালয়, সাধারণ পুস্তকালয়, ঔষধ:লয় স্থাপন করিবার চেষ্ট পায়, তেমনি }র সঙ্গে সঙ্গে একটি ব্রাহ্মসমাজও সংস্থাপন করিবার উদূযোগ করে । ধৰ্ম্মের র রসের সংক্ষেপ সময় ; কিন্তু এই সংক্ষেপ সময়ের মধ্যে ব্রহ্মধৰ্ম্ম অলপ উন্নতি লাভ করে নাই। জ"মর: প্রতি বৎসর সাম্বংসরিক উৎসব মধ্যে দ্বাচস্বারিংশ বৎসর অতি | দ্বাচারিংশ সাংবৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ উপলক্ষে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয় ঘোষণা করিয়; থাকি ; কিন্তু আমার আশঙ্কা হইতেছে যে । মানন্দোল্লাসে নিমগ্ন হইয়া পাছে আমার দিগের আমি অভাব সকল আমরা বিস্মৃত । হইয়া যাই, এই জন্য মধ্যে মধ্যে সেই সকল । অভাব পর্য্যালোচনা করা কৰ্ত্তব্য ; ठाझा যেমন দেশ বিদেশ হইতে বন্ধু সমাগম হই- . করা যাইতে পারে না ; অতএব অদ্যই এই আলোচনার উপযুক্ত দিবস । প্রথমতঃ, আমি দেখিতেছি যে যেমন ঈশ্বরের বিদিতব্য বচনীয় স্বৰূপের উপাসনার উন্নতি হইতেছে, তেমনি তাহার অস্তুত স্বৰূপের উপাসনার হ্রাস হইতেছে। ঈশ্বরের স্বৰূপ দুই অংশে বিভক্ত ৷ একাংশ আমরা কিয়ৎ পরিমাণে জানিতে সক্ষম হই, আর একাংশ অামাদিগের বাক্য মনের অগোচর। নধন তাহার জ্ঞান আছে, শক্তি আছে, ゞぐか○ করুণা আছে, তখন র্তাহার স্বৰূপের একাংশ আমাদিগের বুদ্ধির গোচর । যখন তিনি শরীর ও আত্মা হইতে পৃথক, তখন স্পষ্ট প্রতীত হইতেছে যে অপর অংশ অামাদিগের বাক্য মনের অগোচর। এই অংশটা আমাদিগের সম্বন্ধে নিবিড় অন্ধকারে আবৃত । সেখানে "ন তত্র সুর্য্যো ভাতি ন চন্দ্র তার কং নে মা বিদ্যুতোতান্তি কুতোইয়মগ্নিঃ “ সে ংশ সুর্য্য প্রকাশ করিতে পারে না, চন্দ্রও প্রকাশ করিতে পারে না, বিদ্যুৎ প্রকাশ করিতে পারে না, অগ্নি কি প্রকারে প্রকাশ করিবে ? জ্ঞান শক্তি করুণ বিশিষ্ট পুরুধ ভাবে, পিতা মাতা বন্ধু ভাবে, ঈশ্বরের উপসনার যেমন উন্নতি হইতেছে, তেমনি fঠনি বাক্য মনের অগোচর পদার্থ, এই ভাবে র্তাহার উপাসনার হাস হইতেছে। ওদিকে যেমন রোমহর্ষক প্রেমাত্র বিনিগতকারী সঙ্গীত সকল পুনঃ পুনঃ গান করিক্তে আমরা ভাল লাসি, তেমনি এদিকে “ শ খণ্ডমাস্ট্রয় মশোকমদেছং " এবং " তিনি যে ফ্রি ৪৭. তীত, অখণ্ড, অপরিমিত, শব্দীষ্টীস্থ, স্পৰ্শতীত, বেদে বলে নিরবধি ! মনেস্তে ন৷ যায় পাওয়া, বাক্যেতে না যায় কওয়া, সস্তুরণে পার হওয়া হয় কি জলধি ”—এই সকল গীতের মহোচ্চ ভাব ও অনলঙ্গত য়াছে, অন্য দিন এৰূপ বন্ধু সমাগম প্রত্যাশা সৌন্দর্য্য আর আমাদিগের ভাল লাগে না । কিন্তু যেমন ভক্তি ও প্রীতি-রসে অস্ত্র" হইয়া প্রেমাত্র বিনিগত করা উচিত, তেমনি ঈশ্বরের অনন্ত অনিৰ্বচনীয় স্বৰূপ আলোচনা করিয়া বাক্য মনকে স্তন্ধীভূত করা উচিত। এই দুই ভাবের সামঞ্জস্য সম্পাদন করা আমাদের কৰ্ত্তব্য । ভক্তি প্রীতির অমুরোধে ঈশ্বরের অস্তুত স্বৰূপের উপাসন। অবহেলিত হইতেছে । শুদ্ধ যে তাঙ্কা অবহেলিত হইতেছে এমন নহে, ভক্তি ও প্রী তির অনুরোধে আমরা ঈশ্বরকে কোন কোন