পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sግbr স্ত্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বক্ততা । রক্ষইব স্তস্কো দিবি তিষ্ঠত্যেকস্তেনেদং পূর্ণ পুৰুষেণ সৰ্ব্বং { এক সেই পরমাত্মা রক্ষের ন্যায় স্তন্ধ ৰূপে মচিমন্বিত আকাশে স্থিতি করিতেছেম, আর সমস্তই সেই পূর্ণ পুরুষ দ্বারা পূর্ণ রহিবৃক্ষের মস্তকে স্কন্ধে চন্তে বাহুতে を f、g l রাশি রাশি তার সকল সম্বন্ধ হইয়া রঙ্গি- | য়াছে, এবং সমীরণের প্রত্যেক চিল্লোলে । নিয়ত দোতুল্যমান হইতেছে, তথাপি বৃক্ষ স্বয়ং স্তন্ধ রূপে দগুtয়মান রক্রিয়া সমস্ত ভার একাকী বহন করিতেছে । আমর fকঞ্চিৎ প্রণিধান করিয়া দেখি, তবে কি শাখা কি প্রশাখা, কি পল্লব কি পুষ্প, বৃক্ষের যে কোন অবয়ব আমাদের দৃষ্টিতে পতিত , তাকাতেই আমরা বৃক্ষকে মুৰ্ত্তিমান uদখিভে পাই। প্রশাখা যুক্ত শাখা দেখিলে, পল্লব যুক্ত প্রশাখা দেখিলে, শাখায়মান fশর সংযুক্ত শল্লব দেখিলে, দল পরিচ্ছদ সংযুক্ত পুষ্প দেখিলে, মহাশাথ সংযুক্ত সেই এক বৃক্ষেরই ভাব আমাদের মনে জাগকি হয়:-শাখাতে প্রশাখাতে পল্লবে পূপে স কলেতেই আমরা সুক্ষের অভিজ্ঞান চিকু স্পষ্ট অক্ষরে মুদ্রিত দেখিতে পাই। নানা শপ। যেমন একই বৃক্ষের সাক্ষা প্রদান করে ; সেই রূপ সমস্ত সৃষ্টি সেই একই পরমেশ্বরের সাক্ষ্য প্রদ সিন কুরিতেছে । এক তুর্ম, মধ্যস্থলে বৰ্ত্তমান থাকিয় নানা গ্রহ উপগ্রন্থকে যথা নিয়মে চক্রিত করিতেছে, ইহাতে আমরা একই ঈশ্বরের আধিপত্য মুর্তিমান দেখিতেছি ; তেমনি আবার এক স্থির রূপে দণ্ডায়সান থাকিয়া নানা শাখা প্রশাখ পল্লব পুষ্পকে প্রাণ ও সেী#র্মে পরিপূর্ণ করিতেছে, ইহা ইন্তে ভাব যদি soठूश्वि তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ty 等*、* 5t骨 গ্রহণ করিয়া আমরা একই অচ্যুত পুরুষের অক্ষয় ভাণ্ডার সর্ব জগতে অ বারিত দেখিতেছি । তিনি স্তব্ধ ভাবে দণ্ডায়মান থাকাতেই চন্দ্র সুর্য্য উদয়াস্ত হইতেছে, জীব জন্তু সঞ্চরণ করিতেছে, বায়ু প্রবাহিত হইতেছে, এবং মনুষ্য অমৃতের পুত্র হইয়া সর্বোপরি উথান করত নানা অবস্থার মধ্য দিয়া অমৃত ধামের দিকে মিলিয়া চলিতেছে। আপাততঃ মনে হইতে পারে যে, এই বিশাল জগতের সৰ্ব্বত্রই যখন পরিবর্তন আপন সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত করিয়া রহিয়াছে, তখন জগতের কৰ্ত্তা যিনি তিনি ও পরিবর্তনের বশবৰ্ত্তী, কিন্তু এ বৃথা আশঙ্কা, না পরীক্ষাতে না যুক্তিতে না জ্ঞানেতে কিছুতেই পোষকতা পায় মা—এ আশঙ্কা নিতান্তই অমূলক । পরীক্ষাতে দেখা যায় যে সেনাপতি অটল না থাকিলে সেনা বিশৃঙ্খল হইয়া যায়, স্বর্য একটুকু স্থান ভ্ৰষ্ট হইলে গ্রহ উপগ্রহে মঙ্গেৎপাত উপস্থিত হয়, বৃক্ষ স্থান চুত হইলে শাখী পত্র শুষ্ক ইয়া বিনষ্ট হয় । যুক্তিতে দেখা যায় যে, যখন একটি সামান্য কার্ষ্য সুন্দর রূপে নিৰ্বাহ করিতে হইলে কত ধৈর্য্য, কত সহিষ্ণুতা, কত অটল ভাব আবশ্যক হয়, তখন যিনি অসীম জগতের কার্য্য একাকী নিৰ্বাহ করিতেছেন, তাঙ্গর তুল্য অটল আর কে হইতে পারে । তিনি একেবারেই অপরিবর্তনীয় । জ্ঞানেতে দেখা যায় যে, যিনি মুলাধার উঁাহাতে লেশ মাত্রও পরিবর্তন সম্ভৰে না । মন প্রতি-নিয়ত পরিবর্তিত হইতেছে, শরীর প্রতি-নিয়ত পরিবর্ভুিক্ত হইতেছে, কিন্তু তথাপি যে আমি কল্য ছিলাম, সেই অামি অদ্য আছি, এই ৰূপ জ্ঞানেতে এক দিকে উপলব্ধি হইতেছে যে পরিমিত আত্ম: যে জীবাত্মা তাহ পরিমিত সময়ের মধ্যে অপরিবর্তনীয়; অন্য দিকে উপলব্ধি হইতেছে যে, অপরিমিত আত্মা যে