পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাঁহাদের এই দেশের উজ্জল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিতে হইবে। আর সেই গবেশনগলিকে বাস্তবে ও যৌথ জীবনে রূপদানের জন্য একটি জলন্ত আগ্রহ অতি অবশ্য চাই । আমি যেরকম বঝিতে পারিতেছি, তাহাতে আজিকার সক্রিয় আদশগলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্বশাসিত জাতিগলির ফেডারেশন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বহ সংস্কৃতির ফেডারেশন গঠন । ভারত নিজের জাতীয় সমস্যার মীমাংসা করিতে পারিলে তা বই বিশ্ববসমস্যার সমাধানপ্রয়াসে সবীয় অংশ লইতে পরিবে । एवश्ऊनिश्ऊि के का अव९ भाब्राबाश्किडा জাতীয় সমস্যার সফল সমাধানেব জনা ভারতীয় সমাজের অন্তনিহিত ঐক্য এবং এদেশের সভ্যতার নিরবচ্ছিন্নতা সম্পকে ভারতীয় যািবকদের সম্পণে সচেতন হওয়া চাই । আমার দণ্টিতে সময়ের তটপলবী একটি বিশাল নদীর মতো এই ভারতীয় সভ্যতা ! সেই নদীতে আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন সংস্কৃতির স্রোত আসিয়া মিশিয়াছে। কাশমীর হইতে কুমারিকা অন্তরীপ, বাংলা হইতে গজরাট পযািশত এই সভ্যতা একটি ঐক্যে বিধত । আপাতবৈচিত্ৰ্যও তােহর মধ্যে থাকিতে পারে । আমাদের ইতিহাস বলতেছে তাহারা বিচিত্র কিন্তু বিদেশী-রচিত ইতিহাস হইতে আমরা যাহা শিখিয়াছি তাহা আমাদের ভুলিয়া যাইতে হইবে । আমাদের অতীতের দিকে ফিরিয়া তাকানো ব্যতীত উপায় নাই । আমাদের সভ্যতায়, শিলেপ, দশানে, ধমে এবং সমাজবিজ্ঞানে এই সভ্যতাব কীতি অনভব করিবার মতো ইতিহাস-চেতনা আমাদের জাগাইয়া তোলা চাই । এই সভ্যতার মধ্যে হিন্দ, বা মসলমানের স্বতন্ত্র কোনো সত্তা নাই । ইহা বিভিন্ন সংস্কৃতি-সমন্বয়ের ফলমাত্র । চন্দ্রালোকে উজৰিল তাজমহলের বীপের 4দকে তাকাইয়া দেখােন এবং যে মন এই শিল্পসটির পশ্চাতে সক্ৰিয ছিল, তাহাব সৌন্দয অন্যভব করন । আমাদের বাঙালী কবি আশ্চৰ্যভাবে ইহার বর্ণনা দিয়াছেন : “এক বিন্দ নয়নের জল/কালের কপোলতলে শত্ৰ সমাজৰুল এ তাজমহল’ । মাঘলরা যদি তাজমহল ব্যতীত কিছই না। রাখিয়া যাইতেন, তব, আমি তাঁহাদের প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করিতাম। ব্রিটিশ শাসনের দিন যেদিন শেষ হইয়া যাইবে, সেদিন এই সরকার পাশ্চাতে কী রাখিয়া যাইবে ? কারাগারের কুৎসিত প্রাচীর এবং তাহার বিকট কার্যকক্ষগলি ছাড়া ব্রিটিশ সরকার আর কিছই রাখিয়া যাইবে না । S.