পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবাগ্নে, প্রয়োজন । ইহা আসিবে। যদি আমরা সকলেই অস্তরের মধ্যে যৌবনের প্রেরণা অনভব করি। আজি ক্রমেই এই বিশ্ববাস ও শ্রদ্ধা জাগিয়া উঠিতেছে, যবক, না বদ্ধ- তাহা নির্ধারিত হয অন্তরের মমতা দ্বারা । বয়সে কিছু বোঝা যায় না । যৌবনের এই অমর প্রেরণা ফিরিয়া পাইতে হইবে সাধনা দ্বারা, চিশতী দবারা, কল্পনা দ্বারা । সাহিত্য, ধম, সমাজ, রাষ্ট্রসব দিক দিয়া জাতিকে গড়িয়া উঠাইতে হইবে । সবাধীনতার আকাংক্ষা যদি একবার মনের মধ্যে জাগিয়া উঠে। তবে তাহা জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা দিবে। সবাধীনতার এই আদশ চিন্তার দ্বারা, ধ্যান দ্বারা, সাধনা স্বারা মনের মধ্যে প্রতিস্ঠিত করিতে হইবে । ইহার জন্য যৌবনের প্রয়োজন । যৌবন ব্যতীত এই চিন্তা, এই কলপনা, এই সর্বপন অসম্ভব । রাষ্ট্ৰক্ষেত্রে ইংরেজের অধীনে সবাধীন হইব, এই চিন্তা পরিত্যাগ করিতে হইবে। মন্তির আকাংক্ষা যদি একবার প্রাণ সপেশ করে, একবার যদি আদশের প্রতিষ্ঠা হয়। তবে যে কোথা হইতে অসীম শান্তি অনভ্যুত হইবে তাহা ভাবিয়া আমরা অবাক হইব । এইজন্য বাঙালীর ভাবপ্রবণতার একটা সার্থকতা আছে । এই পথিবীতে সকল শক্তির বড়ো শান্তি কলপনা ও চিন্তা-শন্তি । শান্তর উদবোধন এদেশে কী না আছে ? প্রকৃতির রমণীয় দশ্য ; প্রতিভাবান কবি, দার্শনিক বৈজ্ঞানিক, ব্যায়ামবীর, খেলোয়াড়- কিসের অভাব আমাদের ? শােধ প্রয়োজন শক্তির উদবোধনের । এইজন্য সাময়িক স্বৈরাচারের (autocracy) প্রয়োজন । নতুবা নিযমান,বাঁতিতা থাকে না । আর নিয়মানবতি তা না থাকিলে শক্তির ও সংহতির টুদবোধন সম্ভবপর হয় না। প্রাচীনেরা বলিয়া থাকেন, তরণের উচ্ছঙ্খল হইযাছে । আমি তাঁহাদের প্রতিবাদ করি । তবে একটা আন্দোলন আবশভ হইলে একটি উচ্ছংখলতা না হইযা যায় না। কিন্তু পরে ইহা 3 r অমাতের সন্তান আমরা বিশ্ববাস করি, আমরা অমতের সম্প্ৰতান, আমাদের মধ্যে দেবত্ব আছে। কাজেই আমরা সবাধীন হইলে উচ্ছঙ্খল হইব ইহা কিছুতেই বিশ্ববাস করি না । নেতৃত্বের পতন যখন-তখন হয় । তােহা না হইলে তরণের আন্দোলন SO