পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনই আশা যৌবনের যথার্থ ধম বঝিতে হইলে আমাদের অতি অবশ্য প্রথম জানিতে হইবে যৌবন বলিতে কী বকায়। যৌবন এক অন্তহীন আশা । এক অফরািস্ত কম শক্তি এবং ব্যক্তির জীবনে সেই শান্তির বিকাশ । এই ভাবটি মাঝে মাঝে কবিতায়ও ভাষা পাইয়াছে যেমন রবীন্দ্রনাথের ‘নিকারের পবিপিনভংগ কবিতায়- “আমি ভাঙিব পাষাণ কারা” অথবা টেনিসনের 'ইউলিসিস’ airs 'Strong in will To strike, to seek, to find and not to yield.” এই অন্তহীন আশা বিশ্ববজাগতিক শক্তির সজনী ক্ষমতার প্ৰৈতিরই আর-এক নাম যৌবন । যৌবনের এই সজনীশক্তির অন্তরালে আছে মন্তির পিপাসা । যুত বড়ো সন্টি হইতে চলিয়াছে তাহার সহিত তাল মিলাইয়া মন্তির পিপাসা তত বেশি হইবে। এই যাব-আন্দোলন এবং এই যৌবনের প্রেরণা পথিবীর সকল দেশে মতে হইয়া উঠিয়াছে ; এখন তাহা একটি বিশব আন্দোলনের বা বিশব সমস্যার রােপ লইয়াছে । মাক্তির পিপাসা যখন পিপাসা জাগিয়া উঠে তখন একটি জাতির কমের সবক্ষেত্রে তাহার প্রকাশ ঘটে । এই কম এবং তাহার আনষঙ্গিক সিদ্ধি প্রাচীন ভারতে বিদ্যমান ছিল। বদ্ধ মানষের অন্তরে মন্তির পিপাসা জাগাইয়া তুলিয়াছিলেন। তাঁহার নিবাণ এবং এই ধারণার ফলগালি সংস্কৃতিতে সামগ্রিক এবং সােষম বিকাশ ঘটাইয়াছিল । এই বিকাশ ছিল আমাদের সভ্যতায় লক্ষণীয় ও গৌরবময় । তাহার পাবে প্রাচীন ভারতে আমরা সংস্কৃতির এক বিস্ময়কর সামগ্রিক বিকাশ দেখিতে পাইয়াছি । তাহা ঘাঁটিয়াছিল বৈদিক ও ঔপনিষদিক যাগে। বেদে এবং উপনিষদে শােধ সাংস্কৃতিক বিকাশের চিহ্নই ছড়াইয়া নাই, তাহাতে উচ্চস্তবের প্রাকৃতিক বিজ্ঞানেব চর্চাও যে হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে । R