পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে পর্যন্ত সংঘবদ্ধ না হইতেছে ততদিন তাহাদিগের পক্ষে পদ্ধবরাজ আন্দোলনে অথবা সামাজিক ও অর্থনৈতিক পািনগঠনের কাজে যোগদান করা সম্ভবপর হইবে না। এ কথা স্বীকার করিবার উপায় নাই যে সকল দেশে, বিশেষত আমাদের এই অভাগা দেশে, মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সম্প্রদােয়ই দেশের মেরুদণ্ডস্বরূপ। তাহারা যে শােধ মন্তিপথের অগ্রদত তাহা নয়- গণ-আন্দোলনের অগ্রদত। যতদিন পর্যন্ত জনসাধারণের মধ্যে প্রকৃত জাগরণ না আসিতেছে, ততদিন পষতে শিক্ষিত সম্প্রদায়কেই গণ-আন্দোলনের অগ্রদত হইতে হুইবে । এতদ্ব্যতীত যাবতীয় গঠন-মািলক কাজে এই শিক্ষিত সম্প্রদায়কে অগ্রণী হইয়া পথপ্রদশকের কাজ করিতে হইবে । এই সকল কারণে আমি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের অভাব-অভিযোগের বিষয়ে দই-একটি কথা বলিতে देश कन्न । প্রথমত, তাহদের ভাবের অভাবের কথা । আমাদের শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের মধ্যে যে আদশপ্রেম ও আদশ নিষ্ঠার অভাব আছে সে বিষয়ে কোনো সম্পেন্দহ নাই। এই ভাব-দৈনের কারণ কি ? কারণ এই যে, যাহারা আমাদিগকে শিক্ষা দেন তাঁহারা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আদশের বীজ আমাদের হৃদয়ে বপন করেন না। আমাদের ভাব-দৈন্যের জন্য আমি আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদােয় ও বিশ্বববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষাদিগকে প্রধানত দায়ী করি। আমি জিজ্ঞাসা করি।-- আমাদের বিশ্বববিদ্যালয়ের আঙিনায় কি মন্তির বায় খেলিতে পায় ? যাহারা ঐ আঙিনায় জ্ঞানাহরণের জন্য বিচরণ করে তাহারা কি মন্তির আদশের স্বারা অন্নপ্রাণিত হয় ? আপনারা সকলে জানেন যে অন্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে যে পািত আম্প্রেদালন ফরাসী দেশের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রশস্ত পাবশত জাগরণের বিনা আনিয়াছিল সেই আন্দোলনের অধিনায়ক ছিলেন- ফরাসী দেশের অধ্যাপক সম্প্রদায় । আমাদের বিশববিদ্যালয়ের দিকে তাকাইলেই বঝিতে পারা যায় আমাদের জাতীয় দদশা কতদার পৌঁছিয়াছে । কিন্তু আমাদের হতাশ হইলে চলিবে না । অধ্যাপক সম্প্রদায় যদি নিজেদের কতব্য না করেনতাহারা যদি নিজ নিজ জীবনের আদশ ও শিক্ষার প্রভাবে মানষে সন্টি করিতে অক্ষম হন-- তাহা হইলে ছাত্ৰাদিগকে নিজের চেণ্টা ও সাধনার প্রবারা মানষি হইতে হইবে । ভাবের দৈন্যের পরই অন্নাভাবের কথা মনে পড়ে । শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকার সমস্যা যে কিরূপ গরতের হইয়া দাঁড়াইয়াছে তাহা নানা কারণে ტტ