দ্বিতীয়ত, যবকদের কম প্রচেষ্টা যাহাতে ভিন্নমখী ও পরস্পর-বিরোধী না হয় এবং যাহাতে সকল চেণ্টা সংহত ও সংঘবদ্ধ হইয়া একই আদশের দিকে পরিচালিত হয়, তাহার জন্য কেন্দ্ৰীয় সমিতির আবশ্যকতা । এই উদ্দেশ্য লইয়া কয়েক বৎসর পাবে নিখিল বঙ্গীয় যােবক সমিতি গঠিত হইয়াছিল । নানা কারণে ঐ সমিতির কার্যকলাপ আশানরূপ ফল প্ৰদান করে নাই । কিন্তু আমার মনে হয় যে, আজ ঐ নিখিল বঙ্গীয় যােবক সমিতিকে পািনর জীবিত করিবার সময় আসিয়াছে । কোনো নািতন কেম্পন্দ্রীয় সমিতি গঠন না করিয়া আপনারা যদি ঐ পরাতন নিখিল বঙ্গীয় যােবক সমিতির মধ্যে প্রবেশ করিয়া আবার প্রাণ-প্ৰতিষ্ঠা করিতে পারেন। তাহা হইলে শীঘ্রই সফল ফলিবে, এ কথা আমি বিশ্ববাস করি । আমি পাবেই বলিয়াছি যে বিস্তৃত কমতালিকা দিবার চেন্টা আমি করিব না। কি আদশ লইয়া এবং কি প্রণালীতে কাজ করা আবশ্যক সে বিষয়ে কিছ: বলিলেই আমার কতব্য সম্পাদিত হইবে । বাস্তবের দিক হইতে দেখিলে আমাদের অভাব প্রধানত তিন প্রকার- ১. অন্নাদির অভাব, ২১ বস্তাদির অভাব ও ৩. শিক্ষাদির অভাব । আমরা অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, শিক্ষা চাই । কিন্তু মল সমস্যার দিকে দেখিলে প্রতীয়মান হইবে যে আমাদের জাতীয় দৈন্যের প্রধান কারণ- ইচ্ছাশক্তি ও প্রেরণার অভাব । সতরাং যদি আমাদের National Will বা ইচ্ছাশন্তি জাগরিত না হয় তাহা হইলে শািন্ধ, অন্ন, বঙ্গত ও শিক্ষার বাবস্থা করিলেই জাতীয় সমস্যার সমাধান হইবে না । Benevolent Despot-43 CNET is 513 (27.3 at Local Body-staff striests অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষার ব্যবস্থা করিয়া দেন তাহা হইলেও আমরা মানষি হইতে পারিব না। সকলের সাহাষ্য গ্রহণ করিতে দোষ নাই। কিন্তু প্রধানত নিজেদের সমবেত চেণ্টায় আমাদিগকে অন্ন, বস্ত ও শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে হইবে । যদি আমরা সমবায় প্রণালীতে এই কাজ করিয়া যাইতে পারি। তাহা হইলে আমাদের জাতীয় ইচছাশন্তি ফিরিষা আসিবে- এবং কবিরাজ স্বাধীনতা অনায়াসে লভ্য হইয়া পড়িবে । পল্লী-সংস্কারের কথা চিন্তা করিলে এই কথাই মনে হয় । আমাদের সব দা লক্ষ্য রাখা-উচিত যাহাতে গ্রামবাসীরা প্রধানত নিজেদের চেণ্টায় অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যোমিতির ব্যবস্থা করেন । প্ৰথম অবস্থায় গ্রামের বাহির হইতে সাহায্য পাঠানো দরকার হইতে পারে। কিন্তু শেষ পষশত যদি পল্লী s
