পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে পারে না ; তাই শ্ৰীমদভগবৎ গীতার সাহায্যে তাঁহাকে বঝাইতে হইয়াছিল যে, কুরক্ষেত্রের মহাশমশানের উপরেই ধামরাজ্যের প্রতিষ্ঠা হইবে । এখন প্রশন উঠিতেছে তরণের আদশ কি ? তরণের আদশ-বতমানের সকল প্রকার বন্ধন, অত্যাচার, অবিচার ও অনাচার ধবংস করিয়া নািতন সমাজ ও নািতন জাতি সম্মিট করা। প্রাচীনের ও বতমানের উচ্চ প্রাচীর অতিক্ৰম করিয়া সদরের সম্প্রধান পাইবার জন্য মানবের দস্টি অতি আদিম কাল হইতে উৎসক আছে । শােধ তাই নয়, সদরের স্বপনকে বাস্তবের মধ্যে মতে করিবার চেষ্টা মানবজাতি বরাবর করিয়াছে । এই প্রেরণার ফলে অতি প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে গৌতম ব্যুদ্ধের আবিভাব হয় এবং প্রাচীন গ্রীসে সক্রেটিস, ’েলটাে প্রভাতি মনীষিবন্দের অভু্যদয় হয়। আমরা মনে করিতে পারি যে, তরুণদের রচিত যে-কোনো প্রতিষ্ঠানযেমন সেবাসমিতি, ষািবক সমিতি বা তরুণ সংঘ আখ্যা পাইবার যোগ্য, কিন্তু এ ধারণা ভ্ৰান্ত । যে প্রতিষ্ঠান বা আন্দোলনের মলে স্বাধীন চিন্তা ও নাতন । প্রেরণা নাই সে প্রতিস্ঠান বা আন্দোলন তরণের আন্দোলন বলিয়া অভিহিত হইতে পারে না। তরণ প্রাণের লক্ষণ কি ?- লক্ষণ এই যে, সে বত মানকে বা বাস্তবকে অখন্ড সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারে না, সে বন্ধনের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও অত্যাচারের বিরদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করিতে চায় এবং সে আনিতে চায় ধৰ্ব্বংসের মহািশমশানের বাকে সন্টির অবিরাম তাণ্ডব নিত্য । ধবংস ও সন্টি লীলার মধ্যে যে আত্মহারা হইতে পারে একমাত্র সেই ব্যক্তিই তরণ । তারণ্যে যার আছে সে ধবংস ও সংগ্রামের ছায়া দশানে ভীত হয় না। অথবা নব-সন্টিরােপ কাষে অপারগ হয় না । বন্ধ হইয়াও মানযি তরণ হইতে পারে। যদি তার প্রাণ সবজি থাকে আর তরণ হইয়াও মানষি বন্ধ হইতে পারে যদি তার অবস্থা হয় 'ব,"ধত্বম জরাসা বিনা ।” বহদিন যাবৎ তরাণশক্তি আত্মবিস্মত ছিল, তাই কলার বলদের মতো সে পবের কশাঘাত খাইয়া পরের নিদি“ট পথে চলিয়াছে- এবং দায়িত্বভার অপরের হাতে তুলিয়া দিয়া অন্ধের মতো কাজ করিয়া আসিয়াছে । যতদিন পাবশত। এরপ অবস্থায় সমাজের ও জাতীয় ক্ৰমিক উন্নতি ঘটিয়াছে, ততদিন পৰ্যন্ত বিশেষ কোনো গোলমাল সন্টি হয় নাই ; কিন্তু যে দেশে বা যে যাগে নেতৃবর্গের অযোগ্যতার জন্য সমাজের ও জাতির দরগতি ঘটিয়াছে সেখানে তরণসম্প্রদায় বিদ্রোহী হইয়াছে । সরলতানের হাতে সমস্ত শক্তি ও কতব্যভার Sc