পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাতে বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এলে শরীর ও মনের পণ্য শক্তি থাকবে ? কিন্তু আমাদের ভাগাক্ৰমে তা ঘটে না । আমরা কী মনে, কী শরীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ি, তাই সব বিষয়েই আমরা পশ্চাৎপদ । আজকাল অধিকাংশ সমিতিতে বায়াম প্রদশর্নী হয় । লাঠিখেলা, ছোরাখেলা সব শেখানো হয় । বাষিক উৎসবে তার নৈপণ্যেও দেখানো হয় । এইভাবে ব্যায়ামের ফলে ছেলের সাহসী, শক্তিশালী হয় । বাজারে ভালো খাদের অভাবে ছেলেমেয়েরা নিজীবি হয়ে পড়ছে- এই কারণে ব্যায়াম-চাচা বিশেষ প্রয়োজন । দরিদ্র হলেও, ব্যায়ামের পক্ষে কোনো অস্তরীয় ঘটে না । ব্যায়ামের ফলে আমরা রোগের সঙ্গে যােঝতে পারব, শািন্ধ তাই নয়, রোগ থেকে মন্তও হতে পারব । বাংলার চারিদিকে ঘরে বেড়িয়ে দেখছি, অনেক জেলা এমন শোচনীয় অবস্থায় এসে পড়েছে, এমনভাবে মাতুত্যুহার বেড়ে চলেছে যাতে মনে হয়, একশো বৎসর পরে দেশে আর মানষে থাকবে না । দশ লক্ষের মধ্যে এক লক্ষ লোক এক বৎসরে মরে কেন ? এর প্রতিকার সম্পণে ভাবে আমাদের হাতে না থাকলেও যতটকু আমাদের হাতে আছে, তা করতে হবে, এইজন্য বায়াম শিক্ষা করা 牙4卒T峦目 গ্রামে অগিনকাশেডও ছেলেরা যে কাজ করেছে। এ খব। আনন্দের কথা । এ-বিষয়েও fire drait শিক্ষা করা দরকার । এই শিক্ষা পেলে বেশ যন্ত্রের মতো কাজ করতে পারা যায়, কোনো গোলমাল ঘটে না । অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রায়ই সাধারণ লোকে একটা হট্টগোলের সম্মিট করে । যারা কাজ করতে যায়, তারাও এই গোলমালে কাজ করার সংযোগ পায় না । এই কারণেই এই বিষয়ে বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন যাতে গোলমালের মধ্য হতেও কাজ করবার মতো সংযোগ আবিস্কার করা যেতে পারে । তারপর First And শিক্ষার ব্যবস্থা । হাসপাতালে যাঁরা কাজ করে, তাঁদের মধ্যে এক-একজন বেশ প্রিয় পট বলে মনে হয় । আবার কেউ-বা অপ্রীতিকর বিরাগভাজন বলে মনে হয় । রোগের সময় ঔষধ চাই, কিন্তু পরিচযা তার চেয়ে ঢের বেশি কাজ করে। রোগীকে মিণ্ট কথায় ভোলানো, তাকে শাম্পত করা বেশ শক্ত কাজ । ব্যান্ডেজ বাঁধা প্রভাতি ব্যাপার শিক্ষা করা উচিত- সঙ্গে সঙ্গে শেখানো উচিত, সেবকের মনোভাব create করা । সম্ভবপর হলে, এ বিষয়ে উপযন্ত “ট্রেনিং দিতে পারলে, খাব অলপ সময়ের মধ্যেই, ভালো 'নাস’ তৈরি করতে পারা যায় }