পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর, এই একশত বৎসর ইংরাজদের অবস্থা কি ছিল দেখা যাক; তখন এদেশের কাপড় বিলাতে বিক্ৰীত হয়ে এদেশে অর্থেরই আমদানী করত । নিজের দেশের উৎপন্ন থেকে নিজেদের অভাব মিটে যেত ; যা উচ্চবিত্ত থাকত, তাই বিদেশে রপ্তানী করা হত । তাই সেই সময় ইউরোপ এ-দেশ সম্পবন্ধে Area exper sigs- India drinks wealth of the world but gives nothing in return - আজি ইউরোপ যা দ্বারছে ভারত একদিন তাই করত, তাই দদিক দিয়ে আমাদের লাভের অংক ৯ স্টিলাভ করত- ফলে ভারত সমািধ হয়ে উঠেছিল । ভারতের এই ধন - ঐশবষের আকষাণেই ইংরেজ এদেশে এসেছিল । ঐ“বয্যের কারণ ছিল, আমরা এ দেশের উদ্বন্ত রপ্তানী করতুম বটে, ওদেশ থেকে তাব বিনিময়ে কিছুই আমদানী করতুম না । ইংরেজ তাই নিজেব দেশকে সমদ্ধ করবার আশায় নিয়ম করে শক্ষিক বসিয়ে আমাদের দেশের কাপড় চালান দেওয়া বন্ধ করতে চেন্টা করেছিল । তাতেও বিশেষ ফললাভ না হওযায়, তারা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করল যে, ভারতীয় বস্ত্র কেহ ব্যবহার কাতে পারবে না, কোনো ব্যবসায়ী তা আমদানী করতে পারবে না- করলে রাজদণ্ডে দণ্ডিত হবে । তাতেও যখন আশানরাপ ফললাভ হল না, তখন তারা সামাজিক প্রথার সাহায্য গ্রহণ করলে । এইভাবে তারা সে দেশে ভারতীয় বস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে, দেশে বস্তশিল্পের অভু্যদয় ঘটিয়েছিল । আমাদের দেশের ধবংসেব সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্ৰীবদ্ধি হতে লাগল। আমাদের দেশে বর্তমান অবস্থায় এভাবে শিল্পের অভু্যদয় ঘটানো অসম্পভব। এমনভাবে আমরা শংখলিত যে, কোনো কাজ করতে সক্ষম নই ৷ ইন্ধিপরিয়েল ব্যাৱক আমাদের দেশের ব্যাংক হলেও, দেশের কোনো ব্যাবসাকে সে সাহায্য করবে না । এদেশের রেলের ব্যবস্থাও ভিন্ন । এক প্রদেশ থেকে আর প্রদেশে কোনো জিনিস চালান করতে রেলে যা খরচ পড়ে, ইংল্যান্ড কি আমেরিকা থেকে সে জিনিস। ভারতে আনতে তার চেয়ে অলপ খরচ লাগে- এত বেশি। এব ভাড়া । কাজ করবার কোনো সংযোগই আমাদের নেই । গভর্নমেন্ট সেটার আছে, কিন্তু এদেশী জিনিসের এখানে কদর নেই ; এর উদ্দেশ্য নিজেদেব ব্যাবসার শ্ৰীবদ্ধি করা !! এমন-কি, জামানির অলপ মালোর জিনিস বাদ দিযে t:ss stna fasöæf Goods q*(ICA (FF)Ris ATSV SS ! Department of Industriesাও এইরকম একটা ভয়ো সংস্থা । ইংরেজ বণিক ব্যাবসা O