পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই আসন, সমাতিবহল এই পরাতন ও পবিত্র বরেন্দ্ৰভ্যমে আমরা একবার কালের অবগঠিন সরাইয়া রংপরের অতীত গৌরবের পর্যালোচনা করি । প্রাচীন কিংবদন্তী এই অঞ্চলের সহিত দেবাদিদেব মহাদেবের লীলাবিজড়িত কবিয়া রাখিয়াছে । এই শিবধামে মন্তিকামী বাঙালীকে আপনারা আজি আহবান করিয়াছেন । কালের চক্রাস্তে অ-ব্যুতের পত্রগণ শিবত্ব হারাইয়া মাতুমখে পতিত হইয়াছে ; “তাই সমিতি । য়ে ঘেরা’ এই অতীতের ধবংসাবশেষেব মধ্যে আমরা শব-সাধনাব জন্য সম্মিলিত হইয়াছি { মহাভাবতের যাগে রংপর কামবােপ বা প্ৰাগজ্যোতিষের অন্তভুক্ত ছিল । ভগদত্ত ছিলেন রংপরেব অন্যতম রাজা এবং তিনিই নাকি রাজপ্রাসাদ নিমাণের পর “বঙ্গাপব’ নামকরণ করিয়াছিলেন । পরবতী যাগে বিখ্যাত পালবংশীয অধিপতিগণ বংপর অঞ্চলে শাসন বিপতার কবিয়াছিলেন এবং তাঁহাদের মধ্যে ধম পালের, নাম উল্লেখযোগ্য । ধামপালকে পরাজিত করিয়া মানিকচন্দু ‘তাঁহা বা বা জত্ব স্থাপন কবেন । মানিকচন্দ্রের গান আজও নানাম থানে গীত হইযা থাকে । এই-সব গানেৰ ভিতব দিয়া উত্তরবঙ্গের অধিবাসিগণ মানিকচন্দ্রব পত্নী ময়নামতীর অলৌকিক ক্ষমতার কথা, তাঁহার পত্র গোপীচন্দ্রেব ও তদীয পত্নীদ্বয অদনা-পদনার হৃদযগ্রাহী কাহিনী শনিয়া থাকেন । তালপাব উত্তৰবঙ্গে যখন প্রবল পরাক্ল্যাম্পত নীলধবজ বংশীয় রাজগণ রাজত্ব কবেন তখন বাংপাব তাঁহাদেব অন্যতম রাজধানী ছিল ! মসলমান যাগে হাসেন শাহেব মতো বিচক্ষণ ও ধর্মপরায়ণ নািপত এই অঞ্চলে শাসন কবিযাছিলেন । মসলমান যাগের অবসানে ও ব্রিটিশ যাগের প্রারম্ভে যখন অৰাজকতা সন্টি হই যাছিল তখন ভবানী পাঠক, দেবী চৌধরানী প্রভাতির নেতৃত্বে শত শত সন্ন্যাসী এবং সহস্ৰ সহস্র নিভীক ও স্বদেশানরোগী বাগবাসী স্বাধীনতার জন্য প্ৰাণপাত করিযাছিলেন । এই-সব অলৌকিক ঘটনা অবলম্বন কবিয়া, বর্তমান যাগে বঙ্কিমচন্দ্র ‘আনন্দমঠ’ ও ‘দেবী চৌধরাণী” -প্রণযনেব "বারা নবজাগবণে বোধন করিয়াছেন । জাতীয়তার প্রধান পবোহিত- 'কবি, শিলপী ও সাহিত্যিক বঞ্চি কমচন্দ্রকে এই বংপর জেলা চিন্তাব ও সাণািটর কত উপকৰণ যোগাইথাছে । কে বলিতে পারে যে অতীত, বতমান ও ভবিষ্যৎ ভাবতের যে স বপন সত্যদুটা বঙ্কিমচন্দ্ৰ দেখিয়াছিলেন এবং তাঁহাব অতুলনীয় লেখনী সঞ্চালনের দ্বারা তিনি যাহা সাহিত্যে অমর কবিয গমছেন- সেই স্বপন তিনি বাংপাবে দেখেন নাই ?