পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রংপরের ইতিবত্ত আলোচনা করিতে গেলেই মনে পড়ে বরেন্দ্ৰভ্যমের কথা, গৌড়ের সর্বপ্নময়ী সমিতি, পাল সামাজ্যের কাহিনী ; সহস্ৰাধিক বৎসর পবোঁ যে বরেন্দ্ৰভ্যমে বাংলার রাজগণের অপবা শেষ বীষি দেখা গিয়াছিল। কী শিঙ্গ প, কী সাহিত্য, কী পাণ্ডিত্য - সকল বিষয়ে একদিন যে দেশে বাঙালী প্ৰতিভার চরম বিকাশ হইয়াছিল- আজিকার এই রংপর সেই বরেন্দ্ৰভ্যমেরই অন্যতম অংশ- বাঙালীর শৌৰ্য-বীয্যের গৌরবময় লীলাস্থল । এই বরেন্দ্ৰভ্যমে সপ্তম ও অস্টম শতাব্দীতে প্ৰজা শান্তি ও রাজশক্তির মধ্যে বিপােল সংঘষের ফলে অরাজকতা সন্টি হইয়াছিল । সে সংঘর্ষে জয়ী হইয়া প্ৰজাবগাই নিজ মনোনীত ব্যক্তি গোপালদেবকে সিংহাসনে বসাইয়াছিল এবং দেশ হইতে "মাৎসা-নায়’ বা অব্যাজকতা বিদ্যুরিত করিয়াছিল । তারপর পালবংশের অন্যতম রাজা মহীপালের অত্যাচারে প্রজাবন্দ বিদ্রোহী হইয়া উঠে এবং মহীপাল সিংহাসনচু্যত ও নিহত হন । প্রজামণ্ডলী কৈবর্তজাতীয় একজন প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিকে রাজপদে অভিষিক্ত করেন । তাঁহার নাম দিবেবাক । কৈবত'জাতীয় রাজগণ কিছুকাল শাসন করার পর পালবংশীয়েরা আবার বাহবিলে রাজ্য ফিরিয়া পান । পালবংশীয় রাজা দেবপালের আমলে বাঙালী হিমাদ্রি হইতে বিন্ধ্যাচল এবং পাবাসাগর হইতে পশ্চিমাসাগর পযন্ত এক বিস্তীণ সাম্রাজ্য প্ৰতিদ্ঠা করিয়া ছিল । “এই দেবপাল উৎকল-কােল উংকলিত করিয়াছিলেন, হািণ-গব থব করিয়াছিলেন, দ্রাবিড় গজাির-নাথের দপ চণ করিয়াছিলেন, সমদ্ৰ মেখলাভরণা বসন্ধাৱা উপভোগ করিয়াছিলেন।” ( গবড় সত্যািভলিপি, ১৩শ খেলাক ) । এই সাম্রাজ্যের রণতরী ভারতের বিভিন্ন নদ-নদীতে গমনাগমন করিত - সদর সিংহল সন্মাতা, যবক্ষকীপে পয“ত বাংলার পণ্যবাহী-অর্ণবপোত চািলত । কথিত আছে যে বাঙালীর এই দিগ্বিজয় বাতা শ্রবণমাত- ‘উৎকলাধীশ অবসান হৃদয়ে রাজধানী পরিত্যাগ করিতেন - আব্ব প্ৰাগজ্যোতিষের অধীশ্ববর রাজাদেশ মঙ্গতকে ধারণা করিয়া সম্মিধ-বৰ্ম্মধন করিতেন । বাঙালীর বিজয়গৌরবে দাক্ষিণাত্যের শিঙ্গাপবচি অতিক্রান্ত হইয়াছিল, লাট দেশের কমণীয় কাম্পিত আবিল হইয়াছিল, অংগদেশ অবনত হইষা পড়িয়া ছিল ; কণাটের লোলািপ দণ্টি অধোমখে অবস্থিত থাকতে বাধ্য হইযাছিল, মধাদেশেব রাজ্যসীমা সংকুচিত হইয়া গিয়াছিল।” এই হইল প্রায় সহস্রবৎসর পবের কথা । এ কীটদন্ট জীণ ইতিহাস و