পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১. জাতিভেদ একেবারে তুলিয়া দেওয়া । বৈষ্ণব ও ব্ৰাহ্ম আন্দোলন মোটের উপর এই চেস্টাই করিয়াছে । ২. সব বণকে শদ্রে পরিণত করা । ৩. সব বণকে ব্রাহ্মণ করা । প্রথম উপায় অবলম্ববন করিয়া বাঙালী হিম্পদসমাজ সাফল্যমণ্ডিত হয় নাই । এখন সেই দিক দিয়া আরো চেন্টা করা উচিত - না অবশিষ্ট দাইটি উপায়ের মধ্যে কোনো উপায় অবলম্বন করা বাঙালীর কতব্য, তাহা বাঙালী হিন্দীর পক্ষে এখন চিন্তার বিষয় । যে জাতির মধ্যে রাস্তু-সংমিশ্রণ বেশি পরিমাণে ঘাঁটিয়াছে - সেই বাঙালী জাতিকে আজ রান্ত-সংমিশ্রণের ভয় করিলে চলিবে না। আজ আর অস্বীকার করা যায় না যে বাংলাদেশে মদ্গোল, দ্রাবিড় ও আয' রস্তুের সংমিশ্রণ খাব ব্যাপকভাবে ঘাঁটিয়াছে । বাঙালী চরিত্রে যে বৈচিত্র্য ও সাবভৌমিকতা আমরা পাই তাহার অন্যতম কারণ যে এই বস্তু-সংমিশ্রণ নয়--- এ কথা জোর করিয়া cक दकिनउ *ाgय ? স্বাদশ শতাশদীদ্ব পর যখন বাংলার বাজদন্ড মাসলমানের হাতে, সে সমযেও বাঙালীব প্রাণধারা সজীব ছিল এবং জীবনের নব নব দিকে নব নব ভাবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা কবিতে ছিল । আমি পাবেই বলিয়াছি যে বাঙালী চায় সব দা— বৈচিত্রা, সমন্বয় ও সাম্য । সাম্য স্থাপনের জন্য ফলগা নদীর ধাবাব মতো একটা প্রচেষ্টাটা যেমন আদিম কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে- তদুপ বাঙালী যখনই শক্তি সামথ্য পাইযাছে তখনই সব দিক দিয়া নিজের বান্টিব ও সমষ্টির জীবনকে ফটাইয়া তালিবার চেন্টা করিষাছে । একঘেষে জীবন বা একঘেযে নীতি সে কখনো পছন্দ কবিতে পাবে না । কিন্তু বৈচিত যেখানে সে সন্টি কবিযাছে সেখানে সে একতাব দন্টি ও সমন্বয্যের ক্ষমতা হাবায় নাই । চতদশ, পঞ্চদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে যে কয়টি বিচিত্ৰ চিন্তার, সাধনাব ও শিক্ষাব্য ধাবা বাংলাদেশে প্রসন্ত হইষা বাঙালীর প্রাণধমের অদ্ভূত পবিচয় দিযছে তাহার সমন্বয়ও বাঙালী সঙ্গে সঙ্গে করিতে পারিয়াছে। বাংলার বৈশিষ্ট্যের প’বচয। আমবা পাই- রঘনাথ শিরোমণির নিবন্যায়ে, গৌরাঙ্গেৰ দ্বৈতাদ্বৈতবাদে, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের তন্ত্রসারে, রঘানন্দনের পমতিতে এবং জীমন্তবাহনের দায়ভাগে । ন্যায়শাস্ত্রে, আইনশাস্ত্রে, বৈষ্ণবশাস্ত্রে ও সাধনায এবং সমতিতে বাঙালী নাতন ধারা প্রবতিত করিয়াছে। }