পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা মরণজয়ী মাননীয় অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি মহাশয় ও সমবেত ভ্ৰাতৃমন্ডলীআপনারা আমাকে ছাত্ৰ-সন্মিলনীর সভাপতির পদ প্রদান করিয়াছেন । কেন করিয়াছেন- কোন গণ আমার আছে যা হার বলে আমি এই পদ দাবি DBD BBDYS DDD DDD BD S DB D S SDBDBB DBBBBD SS DBBB ছাত্রজীবন কিভাবে কাটিয়াছে, তাহা হয়তো আপনাদের মধ্যে কেহ কেহ অবগত আছেন । জানিয়াও যদি আপনারা আমাকে ছাত্র-সন্মিলনীর সভাপতি করিয়া থাকেন তাহা হইলে আমি কী কথা বলিব তাহা আপনার অনমান করিতে পারেন । ছাত্রমন্ডলী যদি আমাকে তাদের মধ্যেই একজন বিবেচনা করিয়া সভাপতি করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমি তাহদের নিকট বাস্তবিকই কৃতজ্ঞ । আমি তাহাদের শ্রদ্ধা চাই না। কারণ শ্রদ্ধার যোগ্য আমি নই ; আমি চাই তাদের ভালোবাসা, আমি চাই তাদের আপনি হইতে । আমাকে আপনি বোধ করিয়া তাহারা সভাপতি করিয়া থাকিলে আমার এখানে আসা সাথক হইয়াছে । আমি ছাত্রদের ভালোবাসি। এ কথা বলিলে অতু্যন্তি হইবে না যে তাহদের মনোভাব, তাহদের সখেদঃখ, তাহদের আশা-আকাংক্ষার কথা আমি বঝি । ছাত্রজীবনে কী লাঞ্ছনা ও অত্যাচার সহিতে হয় তাহার অভিজ্ঞতা আমার আছে । তাই লাঞ্ছিত ছাত্রসমাজের মমের ব্যথা আমি উপলব্ধি করিতে পারি । যে সমাজে ছান্তেরা শ্রদ্ধা ও সন্মান পায় না- যে সমাজে ছাত্রেরা শিশবৎ, কেবল কৃপার ও উপদেশের পাত্ৰ— সে সমাজে মানষে সন্টি করা সহজ নয় । আমরা মাখে বলি– ‘‘প্ৰাধে তু ষোড়শ বর্ষে পত্ৰং মিত্রবদাচারেৎ"- কিন্তু ব্যবহারে বয়স্ক পািতকে শিশ জ্ঞান করিয়া থাকি, যদিও সে পত্র সাবালক হইয়া বি.এ. এম.এ. পাস করিয়াছে । চল্লিশ বৎসর প্রাপ্ত হইয়াও পান্ত খোকার ন্যায় ব্যবহার পায়- এরূপ ঘটনা বিরল নয় । আর দঃখের বিষয় এই, আমরা এরূপ ব্যাপারে লিঙ্কজা বোধ না করিয়া গৌরব অনভব করিয়া থাকি । প্রৌঢ়াবস্থা প্রাপ্ত হইয়া যাহাঁদের নাবালকত্ত্ব ঘাঁচে না তাহদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সাইমন কমিশন এদেশে আসিলে কি বিস্মিত হইবার হেতু আছে ? হিন্দজাতি গবা করিয়া থাকে যে তাহারা মাতুমতির ভিতর দিয়া bs、