পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাওয়া। সে অবস্থায় মানষে যখন পৌঁছায্য তখন তাহার জীবনের রূপান্তর হয় । সে জীবনের প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য বঝিতে পারে এবং অস্তল বধ নতন শান্তি ও আলোকের দ্বারা যে নািতন পথে নািতনভাবে তাহার জীবন নিয়মিত্ৰত করে। এরপে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিতে হইলে অলপ বয়স হইতেই কাজ আবশভ করা আবশ্যক । যখন মানষের অদম্য শান্তি ও উৎসাহ আছে, অফরম্পত, কলপনাশক্তি ও ত্যাগস্পাহা আছে, নিঃস্বাৰ্থ ভাবে মানষে যখন ভালোবাসিতে পারে- তখনই সে আদশের চরণে আত্মবলিদান করিতে পারে- অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করিয়া ভাবের তরঙ্গে জীবন-তরী। ভাসাইয়া দিতে পারে । সতরাং কৈশোর ও যৌবনই সাধনার প্রকৃষ্ট সময়। টাটকা রাঙা ফলেই দেবীর, আরাধনা হইয়া থাকে; পরানো বাসি। ফলের "বারা সে পাজার কাজ সমাধা হইতে পারে না । তাই বলি, হে “আমার তরণ ভাইসব, তোমাদের হৃদয় যখন পবিত্র, শক্তি যখন অফরেশত, উৎসাহ যখন অদম্য এবং ভবিষ্যৎ জীবন যখন আশার রক্তিম রাগে রঞ্জিত- সেই শাভ-সময়ে জীবনের সব শ্রেষ্ঠ আদশের চরণে আত্মোৎসগ করে । সে আদশ কি- যাহার প্রেবণায় মানষে অমতের সম্প্রধান পায়, বিপােল আনন্দের আঙ্গবাদ পায়, যাহার পণ্য-পরশে দেশে দেশে যাগে যাগে মহাপরিষের সন্টি হইয়া থাকে ? তোমরা হয়তো মনে কর যে মহাপরিষেরা বড়ো হইয়াই জন্মায়- তাঁহাদিগকে চেস্টা করিয়া, পরিশ্রম করিয়া বা সাধনা করিয়া বড়ো হইতে হয না। কিন্তু এ ধারণা সম্পণে ভ্ৰান্ত । মহাপরিষেরা মহত্ব লাভের সম্পভাবনা লইয়াই জন্মগ্রহণ করেন সন্দেহ নাই ; কিন্তু সাধনা ব্যতীত তাহারা সে মহত্ত্বের বিকাশ সাধন করিতে পারেন না বা সব সন্মতিক্ৰমে মহাপরিষের আসন গ্রহণ করিতে পারেন না। যত মহাপরিষ এ পথিবীতে আজ পৰ্যন্ত জন্মগ্রহণ করিয়াছেন তাঁহাদের জীবনী যদি বিশেলষণ করা তাহা হইলে তোমরাও একদিন মহাপরিষেব আসনে বসিতে পারবে । তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ভস্মাচ্ছাদিত বহির ন্যায় অসীম শান্তি আছে । সাধনার দ্বারা সে ভঙ্গমরাশি অপনীত হইবে এবং অন্তরের দেবত্ব কোটি সংয্যের উৎ জলতার সহিত প্রকাশিত হইয়া মনষ্যেসমাজকে মগধ করিবে । যে আদশকে আশ্রয় করিয়া বাংলার তরণ সমাজকে উদ্বদ্ধ হইতে হইবে তাহার উল্লেখ রবীন্দ্রনাথের নব-বর্ষের গানের মধ্যে পাওয়া যায়। তাই কবির ए - brዓ