পাতা:তরুবালা - প্রচার পুস্তিকা (১৯৩৬).pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরুবালা মল্লিক মহাশয় অখিলের বাড়ীর ঠিক পাশেই থাকতেন। পাশাপাশি থাকার দরুণ দুই সংসারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অনেকটা আত্মীয়তায় পরিণত হোয়েছিল। মল্লিক মহাশয়ের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী আমোদিনী তরুবালাকে । যথেষ্টই মেহ কোরতেন। এবং অখিলের ব্যবহারে বিশেষ ব্যথা পেতেন। । এক শান্ত ছাড়া ’ তরুবালার অন্তরের অবরুদ্ধ বেদনাটুকু সে অপরের কাছে প্রাণপণে গোপন রাখতে চেষ্ট৷ কোরলেও আমোদিনীর সস্নেহ সতর্ক দৃষ্টিকে সেও ফাকী দিতে পারেনি। অখিলের জননী অবশেষে এই পরন্থঃখকাতর প্রৌঢ় মল্লিক মহাশয়ের শরণাপন্ন হোলেন । মল্লিক মহাশয়ের ভয়ে, রাতারাতি ডিসপেন্সারী গুটিয়ে বেণীকে গা ঢাকা দিতে হোল। তিনি অখিলের অধঃপতনের ধারাবাহিক ইতিহাস শুনে আবার - সেই দালাল হীরালালকে টাকার লোভ দেখিয়ে, কাৰ্য্য উদ্ধারে নিযুক্ত কোরলেন । পারুলের বাড়ীতে শোভনলাল নাম দিয়ে একব্যক্তিকে নকল প্রণয়ী সাজিয়ে অখিলের প্রেমের প্রতিদ্বন্দী খাড়া করা হোল । অখিল যখন সেটা একদিন দৈবাৎ আবিষ্কার কোরে ফেললে, পারুলের খাটি রূপটি তখন তার কাছে আর লুকানো রইল না । যে ছিল অখিল-তান্ত প্রাণ সেই পারুলই প্রমান কোরে। দিলে যে তার সাজানো প্রেমে গলদ কোথায় ! পারুলের গৃহ