কখন দেখে নাই, প্রায় ক্রমাগত সপ্তাহ যুদ্ধ হইতে লাগিল; কোন পক্ষেরই কিছুই হইতেছে না দেখিয়া সকলে বিস্ময়াপন্ন হইল। সকলে বলিতে লাগিল রাজপুত্র জয়মলের যুদ্ধে জয় হইবে। কিন্তু লোকের কথায় কি হইতে পারে। পরিশেষে শুনা গেল যে জয়মল যুদ্ধে পরাজিত হইয়াছেন। শুনিয়া সকলে ক্ষুব্ধ ও নিস্তব্ধ হইল। পরিশেষে যুদ্ধে জয় লাভ করিতে না পারিয়া জয়মল সসৈন্যে প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন। তখন রাজ্যশুদ্ধ সকলে একবাক্য হইয়া বলিতে লাগিল যে, জয়মলের যেরূপ উত্তম বংশে জন্ম গ্রহণ করা হইয়াছে তদনুরূপ কার্য্য হইল না। তিনি যদি টোড উদ্ধার সাধন বিষয়ে কৃত সঙ্কল্প হইয়া বিশিষ্টরূপ যত্নবান হইতেন তাহা হইলেই তাঁহার কর্ত্তব্য কাজ করা হইত ও সকলের চিরকালের মনোরথ পূর্ণ হইত। বিদ্যাবতী রূপবতী গুণবিশারদ তারা তাহার প্রেয়সী হইতেন। এদিকে হতভাগ্য জয়মল জয়লাভে নিরাশ হইয়া বেদবিহিত শাস্ত্র-সম্মত সন্মার্গ পরিত্যাগ করিয়া অবৈধ প্রকারে তারাধিকারী হইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। রায় সুরতন, তাহার এই ধর্ম্মবিরুদ্ধ ব্যবহার শ্রবণ করিয়া জলন্ত অনল প্রায় হইলেন এবং তাহার এই দুষ্ট চেষ্টার প্রতিফল দিবার নিমিত্ত তিনি জয়মলের প্রাণকুসুম হরণ করিলেন।
ক্রমে রাজ্যময় রাষ্ট্র হইল যে প্রসিদ্ধ মহারাজ রায়মলের পুত্র জয়মল মরিয়াছেন। সকলেই তাহার ঘৃণিত কর্ম্মের উপর দোষারোপ করিতে লাগিলেন। এই সকল শুনিয়া মুগ্ধ