ভাসিলেন এবং বলিতে লাগিলেন সখি অদ্যাবধি তুমি আমার সমদুঃখভাগিনী সহচরী হইলে। মালতী শুনিয়া বলিলেন আমাকে আপনি নিজ ঔদার্য্যগুণে সকলই বলিতে পারেন।
ক্রমে ক্রমে মেওয়ারে রাষ্ট্র হইল যে জয়মল বেডনোরে প্রাণ ত্যাগ করিয়াছেন। মহারাজ রায়মলকে এ সংবাদ কে শুনাইবে এই এক হুলস্থূল গোলযোগ পড়িয়া গেল। এই মহা বিপদের সংবাদ তিনি কেমন করিয়া সহিবেন। তাহার এই বৃদ্ধ বয়সে তিনি কেমন করিয়া পুত্র শোক সহ্য করিয়া থাকিবেন এবং তিনি তাহার প্রতিফল দিবার নিমিত্ত যত্নবান হইবেন কি না এই ভাবনাই সকলের মনে বলবতী হইতে লাগিল। আবার অনেকে ভাবিতে লাগিল যে, সুরতন এমন কাজ কেন করিলেন; হয়ত তাহাকে আবার দুর্দশাপন্ন হইতে হইবে। এইরূপ রাজ্যমধ্যে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই আন্দোলন করিতে লাগিলেন। কথা আর কতকাল ছাপা থাকিবে। একদিন মহারাজ সন্ধ্যা সমীরণ সেবনার্থে পুষ্প উদ্যানে পাদ চারণ করিতেছেন এবং স্বীয় রাজ্যের বহুবিধ কুশল ভাবিতেছেন। যখন সন্ধ্যাদেবী নীলাম্বরাবগুণ্ঠনে ধরায় আগমন করিতেছিলেন, যখন কুলায়মুখগামী বিহঙ্গমদল কোলাহল করোলিত সায়ংকাল উপস্থিত হইল দেখিয়া দ্রুতবেগে গমন করিতে লাগিল, পশ্চিম গগনাঙ্গনে কাঞ্চন ছটা প্রকাশী সূর্য্যপ্রভা ক্রমে ক্রমে বিলীন হইতে লাগিল,কুসুমচয়শোভনা সরসীর গর্ব্বভূতা সূর্যভামিনী কমলিনী ঈষন্মুদিত হইয়া মস্তক নত করিলেন, কুমুদ কলাপ বিকশিত