পাতা:তারাচরিত.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
১১

হইতে লাগিল, মন্দীভূত সমীর ধীরে ধীরে বহিতে লাগিল, শশধর নিজ কিরণ বিস্তার করিয়া ধরাতলকে স্নিগ্ধ করিতে লাগিলেন, চক্রবাকবধূ কান্ত বিচ্ছেদে করুণ স্বরে রব করিতে লাগিল, এমন সময় একজন লোক আসিয়া মহারাজ গমনোন্মুখ হইতেছেন দেখিয়া বলিল মহারাজের জয় হউক। রায়মল দেখিয়া প্রথমে জিজ্ঞাসা করিলেন কোথা হইতে আসিতেছ? শুনিয়া যুবক উত্তর করিলেন আমাকে মন্ত্রী মহাশয় পাঠাইলেন। তখন রাজা বলিলেন যাহা বলিতে হয় অসঙ্কুচিত চিত্তে বল। যুবক এই সাহস পাইয়া আনুপূর্ব্বিক জয়মলের সকল বিবরণ তাঁহাকে শ্রবণ করাইলেন। তিনি শুনিয়া ক্ষণেক শাল তরুর ন্যায় অচল এবং নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। পরক্ষণে দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, ওহে যুবক ইহা কি সত্য না আমাকে প্রতারণা করিলে? যদি এই কর্ম্ম রায় সুরতন অকপট হৃদয়ে করিয়া থাকেন তাহা হইলে আমি তাহাকে শত শত ধন্যবাদ দিতেছি, তিনিই মনুষ্য; তাহার হৃদয় এতদিনে রাজপুতের বলিয়া প্রতীয়মান হইল। এই বলিয়া পরক্ষণে একটা হুঙ্কার ছাড়িয়া বলিলেন, যে বংশে পুণ্যকীর্তি সূর্য্যবংশীয়েরা জন্ম গ্রহণ করিয়া গিয়াছেন, সেই মহৎ বংশ কলঙ্কিত করিতে পাপাশয় দুরাত্মা জয়মল আমার ঔরসে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিল। আমাকে যে আর তাহার মুখ দর্শন করিতে হইল না ইহাই ভাল। এই রূপ বলিতে বলিতে মহারাজ দুর্গাভিমুখে যাত্রা করিলেন এবং পর দিন প্রাতঃকালে বিচক্ষণ