মন্ত্রির সহিত পরামর্শ করিয়া রাও সুরতনকে বেডনোর উপহার দিলেন।
সুরতন রায়মল দত্ত উপহার প্রাপ্ত হইয়া প্রথমতঃ ক্ষণকাল অবাক হইয়া রহিলেন। পরে সমাগত দূতকে সবিশেষ জিজ্ঞাসা করিলে দূতবর আনুপূর্ব্বিক সমুদয় বর্ণন করিলেন। তাহা শুনিয়া সুরতন মনে মনে মহারাজা রায়মলকে বহুবিধ প্রশংসা করিতে লাগিলেন এবং বলিলেন, তাহা না হইলেই বা কেন তিনি সূর্য্যবংশের প্রদীপ হইবেন। তাঁহার ন্যায় উদারচেতা মহৎ গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি আর কুত্রাপি নয়নগোচর হয় না। আর আমি যে ক্ষত্রকুলোচিত কাজ করিয়াছি ইহা জানিতে পারিয়া যে তিনি আমাকে বেডনোরের স্বামীত্ব প্রদান করিলেন ইহাতে তাঁহার পরিণামে ভালই হইবে সন্দেহ নাই। এইরূপ নগরের সকল লোকেও তাহাকে শত শত ধন্যবাদ দিতে লাগিল এবং এই মহৎ গুণের ভূয়সী প্রশংসাধ্বনি সকল ঘরেই হইতে লাগিল।
মহারাজ রায়মলের তিন পুত্র ছিল। জ্যেষ্ঠের নাম সংগ্রামসিংহ। তিনি প্রভূত ক্ষমতাশালী ছিলেন। তাহার শৌর্য্য বীর্য্যের কথা এস্থলে লেখা বাহুল্য হইবে। দ্বিতীয়ের