পাতা:তারাচরিত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
তারাচরিত।

তাহা মহারাজের অবিদিত ছিল না। সম্প্রতি তিনি মিনাজাতিকে পরাস্ত করিয়া গোড়ওয়ারে মিওয়ারের আধিপত্য পুনর্ব্বার সংস্থাপিত করাতে মহারাজ তাহার উপর অত্যন্ত প্রীত ও প্রসন্ন হইয়াছিলেন এবং তাহার পূর্ব্বকৃত সমুদায় অপরাধ মনে মনে মার্জ্জনা করিয়ছিলেন। সুতরাং তিনি মন্ত্রীরা পরামর্শ দিবা মাত্রই প্রসন্ন মনে স্নেহপূর্ণ বচন পরম্পরাপূরিত পত্র প্রেরণ করেন। পৃথ্বীরাজ পিতার সেই স্নেহময়ী মধুর কর্ণসুখদায়িনী পত্রিকা পাইয়া যেন আহলাদ সাগরে সন্তরণ করিতে লাগিলেন। তিনি মনে করিলেন পিতা যে আমাকে মনে করিয়া পত্র লিখিয়াছেন ইহাতেই আমার যথেষ্ট হইয়াছে। আমি যে দেশত্যাগী হইয়াছি, ইহাতে কি পিতার অন্তরে বজ্রের ন্যায় আঘাত লাগে নাই। তিনি কি করিবেন, আমার অদৃষ্টের দোষ। আমি পিতৃস্নেহে এতদিন বঞ্চিত ছিলাম। উঃ পিতা মাতার স্নেহ কি অপূর্ব্ব মধুময় পদার্থ! আমি কি কঠিন! সেই স্নেহে এতদিন বঞ্চিত ছিলাম! এখন যে বিধাতা অনুগ্রহ করিয়া আমাকে সেই অসীম রত্নভাণ্ডার মিলাইয়াছেন ইহাতে তাহাকে আমার উপর প্রসন্ন বলিতে হইবে। যাহা হউক এখন পরমারাধ্য পরম দেবতা পিতার চরণ-কমল দর্শন করিয়া মন পরিতৃপ্ত করি। এই বলিয়া তিনি এক দ্রুতগামী তুরঙ্গমে আরোহণ করিয়া তথা হইতে বাহির হইলেন। এবং অতি শীঘ্র মিওয়ারের রাজধানীতে আসিয়া পৌঁছিলেন। পৃথ্বীরাজ পিতৃসমীপে সমাগত হইবার পরেই মহারাজ জয়মলের অকীর্ত্তির কথা সকল ব্যক্ত করিলেন। করিয়া বলিলেন সেই