পাতা:তারাচরিত.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
তারাচরিত।

পারি না। কোথাও কলনাদী বিহঙ্গমগণ কলকল ধ্বনি করিতেছে, কোথাও কমলিনী.প্রস্ফুটিত হইয়া স্বীয় প্রিয়তম দিবাকরকে আলিঙ্গন করিতেছে ও তরুলতা সকল ফলভরে অবনত হইয়া উদ্যানের অপূর্ব্ব শোভা সম্পাদন করি তেছে, তমাল তরু শাখার উপরি কোকিল কুহু কুহু করিয়া চতুর্দি্দক আমোদিত করিতেছে, ভ্রমরগণ গুণ গুণ ধ্বনি করিতে করিতে ফুল হইতে ফুলান্তরে পরিভ্রমণ করিতেছে, গৃহপালিত জন্তু সকল শান্তভাবে চরিতেছে, দেখিতে দেখিতে পৃথ্বীরাজ সেই উদ্যান মধ্যস্থিত অট্টালিকার নিকট আসিয়া পৌঁছিলেন। শব্দ পাইয়া মালতী বলিতেছেন রাজকুমারি কোন অশ্বারূঢ় এই পথে আসিতেছেন। অশ্বের পদধ্বনি শুনা যাইতেছে। তারা বলিলেন সখি এ বিজন প্রদেশে কেন অশ্বারূঢ় আসিবেন? তবে কি আবার দুর্বৃত্ত যবন আমাদের এই অবস্থাতে উৎপীড়ন করিতে আসিতেছে? তবে চল সখি আর এস্থানে আমাদের ন্যায় সহায়হীন নারীদ্বয়ের থাকা উচিত হইতেছে না। এই বলিয়া তাঁরা তথা হইতে যেমন বাহিরে আসিবেন অমনি সেই বীরবেশধারী পৃথ্বীরাজকে সম্মুখে দেখিতে পাইলেন। পাইয়া অমনি চমকিয়া উঠিলেন। তখন পৃথ্বীরাজ বলিলেন, ভদ্রে ভয় নাই, আমি শত্রু নহি, আপনারা কেবল দয়ার বশবর্ত্তিনী হইয়া আমাকে বলিয়া দিউন যে, রাও সুরতন, এখন কোথায় আছেন। বলিয়া দিয়া আমাকে বাধিত করুন। এই কথা শুনিয়া মালতী বলিলেম হে ভগবন, আপনি কে? রাজকুমার উত্তর করিলেন ভদ্রে