পাতা:তারাচরিত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
১৭

আমি মহারাজ রায়মলের পুত্র। মহারাজ সুরতনের রাজ্যচুতি হইবার কথা শুনিয়া আমি পিতৃ আদেশে তাঁহার সাহায্য করিতে আসিয়াছি। এই কথা বলিবামাত্র মালতী বলিলেন মহাশয় আপনি অশ্বারোহণ করুন, আমি লইয়া যাইতেছি। পৃথ্বীরাজ সুরতন সমীপে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কীর্ত্তি দেবী তাঁহার নাম পূর্ব হইতে বেডনোরে প্রচারিত করিয়া দিয়া তাঁহাকে পূর্ব্ব হইতেই পরিচিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। যাহা অবশিষ্ট ছিল তাহা ভট্টগণ ও কবিগণ পূরণ করিয়াছিলেন। পূর্ব্বে দিল্লীতে পৃথ্বীরাজ নামে এক অদ্বিতীয় শৌর্যবীর্য্যশালী রাজা রাজত্ব করিয়াছিলেন। সুতরাং ঐ নামটী ক্ষত্রিয়বংশীয় সুন্দরীদিগের নিকট এতই আদরণীয় হইয়াছিল যে, মিওয়ারের রাজপুত্র পৃথ্বীরাজ বেডনোরে আগমন করিবামাত্র তারার মন সেইদিকে পক্ষপাতী হইতে লাগিল। এদিকে সুরতন, এবং পৃথ্বীরাজের রাজ্যবিষয়ক নানা কপোপকথনের পর তাহারা স্ব স্ব স্থানে গমন করিলেন।

 পৃথ্বীরাজের বাসস্থানের অনতিদূরেই তারার গৃহ ছিল। এক দিন পৃথ্বীরাজ কথোপকথন চ্ছলে তারার সহিত তাঁহার পরিণয়ের কথা বলিলেন। শুনিয়া তারা পিতার আদেশানুসারে পৃথ্বীরাজকে বলিলেন যদি আপনি এই প্রতিজ্ঞা করেন যে “টোডা জয় করিয়া সুরতন্ মহাশয়কে দিব নতুবা বৃথা রাজপুত নাম ধারণ করি” তাহা হইলে আমি আপনার সহধর্ম্মিণী হইতে অঙ্গীকার করিব। পৃথ্বীরাজ প্রতিজ্ঞা করিলেন। এই রূপ কথোপকথনের পর তারা আপনার আবাস গৃহে আগমন