বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তারাচরিত.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
তারাচরিত।

চলাভিমুখী হইলেন। রাজবাটী ক্রমশঃ অতি নিকট হইতেছে শুনিয়া তারা সম্পূর্ণরূপে নিস্তব্ধ হইলেন এবং পৃথ্বীরাজও চুপ করিয়া রহিলেন।

 সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে তাঁহারা মিওয়ারের রাজ ভবনে আসিয়া পৌঁছিলেন। মহারাজ রায়মল আহ্লাদ সাগরে ভাসিতে লাগিলেন। পুত্র ও পুত্রবধূর মুখ নিরীক্ষণ করিয়া অপার স্বৰ্গসুখ অনুভব করিলেন। মাঙ্গল্য ক্রিয়া সমাপন হইলে পর মহারাজ কুম্ভমেরু নামক অপূর্ব্ব বাসস্থান নবদম্পতীর বাসের নিমিত্ত নির্দ্দিষ্ট করিয়া দিলেন।


ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।

 শুভক্ষণ দেখিয়া রাজকুমার ও নববধূ কুম্ভমেরুতে প্রবেশ করিলেন। ঐ কুম্ভমেরুর সৌন্দর্য্যের কথা কি বলিব। উহার অনুপম শোভা নিবন্ধন প্রায় সকল লোকেই উহাকে কমল মেরু বলিত। আহা তাঁহাদের আবাস অট্টালিকা কতই সুন্দর। যদি বিধাতা সহস্ৰ লোচন দিতেন তাহা হইলে ও দেখিয়া সাধ মিটিত না! সেখানে বসন্ত সর্ব্বদাই বিরাজ করিতেছেন। কুসুম সকল প্রস্ফুটিত হইয়া বিশ্বরাজ্যের শোভা সম্পাদন করিতেছে। বৃক্ষ লতা সকল ফল ভরে অবনত হইয়া যেন বিশ্বস্রষ্টাকে শত শত ধন্যবাদ দিতেছে। কোমল কমল সকল পূর্ণ সরোবরে বায়ু ভরে দুলিতেছে। ভ্রমরগণ গুণ গুণ ধ্বনি করিয়া তাহাতে একবার বসিতেছে