পাতা:তারাচরিত.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 একদা তার ও পৃথ্বীরাজ কমল মেরুতে বসিয়া আছেন এমন সময়ে তাঁহার ভগিনী শিরোহিপতি প্রভুরাওয়ের পত্নীর নিকট হইতে এক পত্র আসিয়া পৌছিল। তাহাতে তাঁহার ভগিনী অনেক কাতরতা প্রকাশ করিয়া লিখিয়াছেন যে তোমার ভগিণীপতি প্রত্যহ অহিফেণ সেবন করিয়া আমার বিস্তর অপমান করেন; আমাকে সর্ব্বদাই প্রায় পাটের নীচে ফেলিয়া রাখিয়া অনিয়ম কার্য্য সকল করিয়া থাকেন: এই দুরন্ত কৃতান্ত কর হইতে আমার নিষ্কৃতি কর; আমাকে পিত্রালয়ে লইয়া যাও। এই কথা অবগত হইয়া পৃথ্বীরাজ যেন মদোন্মত্ত সিংহের ন্যায় গর্জ্জিয়া উঠিলেন, এবং দুই চক্ষু রক্ত বর্ণ করিয়া শিরোহি অভিমুখে গমন করিবার উদযোগ করিলেন। তারা, হঠাৎ এবংবিধ কার্য্য দর্শনে চমৎকৃত হইয়া, পৃথ্বীরাজকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, নাথ অকস্মাৎ কেন ভাবের ব্যতিক্রম দেখিতেছি? কি হইয়াছে আমাকে বল শুনিয়া উত্তপ্ত প্রাণকে শীতল করি। তোমার ক্রোধের লক্ষণ দেখিয়া বোধ হইতেছে যে কোন ভয়ানক অনিষ্ট হইয়া থাকিবে। এই কথা শুনিয়া পৃথ্বীরাজ তারাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, প্রিয়ে তোমার ভয়ের কারণ নাই, তুমি কোমল নারী জাতি সকলেতেই ভয় করিয়া থাক। এই বলিয়া তিনি পত্রের আদ্যন্ত তারার নিকট ব্যক্ত করিলেন, এবং আমাকে এখনি যাইতে হইবে, এ অপমান আর সহ্য হয় না,