পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫২
তিতাস একটি নদীর নাম

আইজের দিনখান সইয়া থাক। দাও দেও, আমি খোল কাইট্যা আনি।’

 লম্বা একটা খোলে ভাতব্যঞ্জন সাজাইয়া সুবলার বউ বলিল, ‘রাঁড়িরে শেষ খাওন খাওয়াইয়া দেই, আর ত কোনদিন খাইতে আইব না।’

 খোলের এককোণে একটু পান সুপারি, একটু তামাক টিকাও দেওয়া হইল।

 সেই নারী সুবলার বৌকে বলিল, ‘তোমার সাথে ত কত ভাব আছিল দিদি! তুমি যাইও না। আমি যাই তারে লইয়া।’

 অনন্ত ভাত ব্যঞ্জন ভরতি খোলটা হাতে করিয়া নদীর পারের দিকে চলিল, সঙ্গে চলিল সেই স্ত্রীলোকটি। সে নির্দেশ দিল, ‘না-জল না-শুক্‌না, এমুন জায়গাত্ রাইখ্যা পাছ ফিরা আইয়া পড়, আর পিছের দিকে চাইস্ না।’

 অনন্ত জন্মের মত মাকে শেষ খাবার দিয়া স্ত্রীলোকটির পিছু পিছু বাড়ি চলিয়া আসিল।


 লোকে তেপথা পথে রোগীকে স্নান করায়, ফুল দিয়া রাখে। যে পা দিবে সেই মরিবে। এ আপদ একদিন কেন সেই পথ দিয়া আসে না!—হবিষ্যের সময় একবার করিয়া খাইত, এখন খায় তিনবার করিয়া। কোথা হইতে আসে এত খাওয়া?

 —বুড়ির এই কথাটা ভাবিবার মত। বুড়া চিন্তা করে,