বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
মধুসূদন-গ্রন্থাবলী
৫৩৮—৫৬৭

ভ্রাতৃভেদে ক্ষয় আজি দানব দুর্জ্জয়।”
যথা অগ্নি-কণা-স্পর্শে বারুদ-কণিক-
রাশি, ইরম্মদরূপে, উঠয়ে নিমিষে
গরজি পবন-মার্গে উঠিলা তেমতি
দেবসৈন্য শূন্যপথে! রতনে খচিত
ধ্বজদণ্ড ধরি করে, চিত্ররথ রথী
উম্মীলিলা দেখকেতু কৌতুকে আকাশে।
শোভিল সে কেতু, শোভে ধুমকেতু যথা
তারাশির,—তেজে ভস্ম করি সুররিপু!
বাজাইল রণবাদ্য বাদ্যকর-দল
নিক্কণে। চলিলা সবে জয়ধ্বনি করি।
চলিলেন বায়ুপতি, খগপতি যথা
হেরি দূরে নাগবৃন্দ-ভয়ঙ্কর গতি;
সাপটি প্রচণ্ড দণ্ড চলিলা হরষে
শমন; চলিলা ধনুঃ টঙ্কারিয়া রথী
সেনানী; চলিলা পাশী; অলকার পতি,
গদা হস্তে; স্বর্ণরথে চলিলা বাসব,
ত্বিষায় জিনিয়া ত্বিষাম্পতি দিনমণি।
চলে বাসবীয় চমূ জীমূত যেমতি
ঝড় সহ মহারড়ে; কিম্বা চলে যথা
প্রমথনাথের সাথে প্রমথের কুল
নাশিতে প্রলয়কালে, ববম্বম রবে—
ববম্বম রবে যবে রবে শিঙ্গাধ্বনি!
ঘোর নাদে দেবসৈন্য প্রবেশিল আসি
দৈত্যদেশে। যে যেখানে আছিল দানব,
হতাশ তরাসে কেহ, কেহ ঘোর রণে
মরিল! মুহূর্ত্তে, আহা, যত নদ নদী
প্রস্রবণ, রক্তময় হইয়া বহিল!
শৈলাকার শবরাশি গগন পরশে।
শকুনি গৃধিনী তব—বিকট মূরতি—