...The author's loftiness of imagination, his minute observation of nature, bis delicate sense of beauty, and the uncommon splendour of his diction, charm us in every page of the poem. It is an intellectual luxury... the extraordinary genius of our poet has enabled him to arrange his copious store of sublime and beautiful sentiments and images into one harmonious and original whole and produce a masterpiece of poetry that will delight his nation from generation to genera tion. The Indian Field for 2 Feb. 1861 (as quoted in the Modern Review for June 1936 pp. 658-60.)
রামগতি ন্যায়রত্নের ‘বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গালাসাহিত্য-বিষয়ক প্রস্তাব’ মধুসূদনের জীবিতকালেই প্রকাশিত হয়। ন্যায়রত্ন মহাশয় এই কার্য্য “মিষ্টবোধ না হওয়ায় ত্যাগ” করেন। নূতন ছন্দ ও ভাষার বাধা তিনি অতিক্রম করিতে না পারিয়া লিখিয়াছিলেন—
আমরা প্রথমে ইহা পাঠ করিতে পারি নাই, বলিয়া কেহ এরূপ বুঝিবেন না যে, তিলোত্তমা রসবতী নহেন; ইহাতে উৎকষ্ট রস আছে, কিন্তু সেই রস, কর্ণের অনভ্যস্ত কর্কশারমান নূতন ছন্দ, দূরান্বয়, ‘ভূষেণ’ ‘অস্থিরি’ ‘কান্তিল’ ‘কেলিনু’ প্রভৃতি মাইকেলি নুতনবিধ ক্রিয়াপদ, ব্যাকরণদোষ প্রভৃতি কণ্টকাবৃত কঠিন ত্বকে এরূপ আচ্ছাদিত যে, তাহা ভেদ করিয়া স্বাদ গ্রহণ করিতে সকলের পক্ষে পরিশ্রম পোষায় না।—১ম সংস্করণ (১৮৭৩), পৃ. ২৬১-৭০।
একটি কথা আমাদিগকে সর্ব্বদাই স্মরণ রাখিতে হইবে, এই কাব্যে মধুসূদনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ছন্দ; কাব্যের বিষয়-বস্তু নির্ধারণ অথবা কবিত্ব-শক্তির প্রয়োগ গৌণভাবে করা হইয়াছে। যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরকে লিখিত “মঙ্গলাচরণে” তাঁহার কৈফিয়ৎ সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হইয়াছে:—
যে ছন্দোবন্ধে এই কাব্য প্রণীত হইল, তদ্বিষয়ে আমার কোন কথাই বলা বাহুল্য; কেন না এরূপ পরীক্ষা-বৃক্ষের ফল সদ্যঃ পরিণত হয় না। তথাপি আমার বিলক্ষণ প্রতীতি হইতেছে যে এমন কোন সময় অবশ্যই উপস্থিত হইবেক, যখন এদেশে সর্ব্বসাধারণ জনগণ ভগবন্তী বাদেবীর চরণ হইতে মিত্রাক্ষর-স্বরূপ নিগড় ভগ্ন দেখিয়া চরিতার্থ হইবেন। কিন্তু হয়তো সে শুভকালে এ কাব্যরচরিতা এভাদৃশী ঘোরতর মহানিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকিবেক, যে কি ধিক্কার, কি ধন্যবাদ, কিছুই তাহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করিবেক না।
আজ প্রায় শতাব্দীকালের ব্যবধানে আমরা বুঝিতে পারিতেছি, কবি মধুসূদন সে দিন ভুল করেন নাই।[১]
- ↑ এই “ভূমিকা”য় প্রথম সংস্করণ ‘মধুস্মৃতি’র উল্লেখ করা হইয়াছে।