বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মঙ্গলাচরণ।

মান্যবর শ্রীযুক্ত বাবু যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর

মহোদয় সমীপেষু।

 বিনয় পুরঃসর নিবেদনমেতৎ,

 যে উদ্দেশে তিলোত্তমার সৃষ্টি হয়, তাহা সফল হইলে, দেবরাজ ইন্দ্র তাঁহাকে সূর্য্যমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই আদর্শের অনুকরণে আমি এই অভিনব কাব‍্য আপনাকে সমর্পণ করিলাম। মহাশয় যদি অনুগ্রহ করিয়া ইহাকে আশ্রয় দেন, তাহা হইলে আমি আমার এ পরিশ্রম সার্থক বোধ করিব।

 যে ছন্দোবন্ধে এই কাব্য প্রণীত হইল, তদ্বিষয়ে আমার কোন কথাই বলা বাহুল্য কেন না এরূপ পরীক্ষা-বৃক্ষের ফল সদ্যঃ পরিণত হয় না। তথাপি আমার বিলক্ষণ প্রতীতি হইতেছে যে এমন কোন সময় অবশ্যই উপস্থিত হইবেক, যখন এদেশে সর্ব্বসাধারণ জনগণ ভগবতী বাগ্দেবীর চরণ হইতে মিত্রাক্ষর-স্বরূপ নিগড় ভগ্ন দেখিয়া চরিতার্থ হইবেন। কিন্তু হয়তো সে শুভকালে এ কাব্য-রচয়িতা এতাদৃশী ঘোরতর মহানিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকিবেক, যে কি ধিক্কার, কি ধন্যবাদ, কিছুই তাহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করিবেক না।

 সে যাহা হউক, এ কাব্য আমার নিকটে সর্ব্বদা সমাদৃত থাকিবেক, যেহেতু মহাশয়ের পাণ্ডিত্য, গুণগ্রাহকতা, এবং বন্ধুতাগুণে যে আমি কি পর্য্যন্ত উপকৃত হইয়াছি, এবং হইবারও প্রত্যাশা করি, ইহা তাহার এক প্রধান অভিজ্ঞান-স্বরূপ। আক্ষেপের বিষয় এই যে মহাশয় আমার প্রতি যেরূপ স্নেহভাব প্রকাশ করেন, আমার এমন কোন গুণ নাই যদ্দ্বারা আমি উহার যোগ্য হইতে পারি। ইতি

গ্রন্থকারস্য।