বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
মধুসূদন-গ্রন্থাবলী
৩২৫—৩৫৪

সুবর্ণের রেখা—লেখা বক্র চক্ররূপে।
এ সুন্দর প্রভাকর পরিধি মাঝারে,
মেঘাসনে বসি ওগো কোন্ সতী ওই?
কেমনে, কহ, মা, শ্বেতকমলবাসিনি,
কেমনে মানব আমি চাব ওঁর পানে?
রবিচ্ছবি পানে, দেবি, কে পারে চাহিতে?
এ দুর্ব্বল দাসে কর তব বলে বলী।
চরণ যুগল শোভে মেঘবর-শিরে,
নীল জলে রক্তোৎপল প্রফুল্লিত যথা,
কিম্বা মাধবের বুকে কৌস্তুভ রতন।
দশ চন্দ্র পড়ি রে রাজীব পদতলে,
পূজা ছলে বসে তথা—সুখের সদন।
কাঞ্চন-মুকুট শিরে—দিনমণি তাহে
মণিরূপে শোভে ভানু; পৃষ্ঠে মন্দ দোলে
বেণী,—কামবধূ রতি যে বেণী লইয়া
গড়েন নিগড় সদা বাঁধিতে বাসবে!
অনন্ত-যৌবন_দেব, বসন্ত যেমনি
সাজায় মহীর দেহ, সুমধুর মাসে,
উল্লাসে ইন্দ্রাণী পাশে বিরাজে সতত
অনুচর, যোগাইয়া বিবিধ ভূষণ!
অলিপংক্তি,—রতিপতি ধনুকের গুণ,—
সে ধনুরাকার ধরি বসিয়াছে সুখে
কমল নয়ন-যুগোপরি, মধু আশে
নীরব!—হায় রে মরি! এ তিন ভুবনে
কে পারে ফিরাতে আঁখি হেরি ও বদন!
পদ্মরাগ-খচিত, পদ্মের পর্ণ সম
পট্টবস্ত্র; সু-অঞ্চলে জ্বলে রত্নাবলী,
বিজলীর ঝলা যেন অচঞ্চল সদা!
সে আঁচল ইন্দ্রাণীর পীনস্তনোপরি
ভাতে, কামকেতু যথা যবে কামসখা