বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪৮—৪৭৭
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য : দ্বিতীয় সর্গ
৪১

অন্যায় করিতে যদি আরম্ভি আমরা,
সুরাসুরে বিভেদ কি থাকিবেক, কহ,
জগতে? দিতিজবৃন্দ অধর্ম্মেতে রত;
কেমনে, আমরা যত অদিতিনন্দন,
অমর, ত্রিদিব-বাসী, তার সুখভোগী,
আচরিব, নিশাচর আচরে যেমতি
পাপাচার? চল সবে ব্রহ্মার সদনে—
নির্বোদ চরণে তাঁর এ ঘোর বিপদ!
হে কৃতান্ত দণ্ডধর, সর্ব্ব-অন্তকারি,—
হে সর্ব্বদমন বায়ুকুলপতি, রণে
অজেয়,—হে তারকসূদন ধনুর্দ্ধারি
শিখিধ্বজ,—হে বরুণ, রিপু-ভস্মকর
শরানলে,হ—ে কুবের, অলকার নাথ,
পুষ্পকবাহন দেব, ভীম গদাধর,
ধনেশ,—আইস সবে যথা পদ্মযোনি
পদ্মাসনে বসেন অনাদি সনাতন।
এ মহা-সঙ্কটে, কহ, কে আর রক্ষিবে
তিনি বিনা ত্রিভুবনে এ সুর-সমাজে
তাহারি রক্ষিত? চল বিরিঞ্চির কাছে!”
এতেক কহিয়া দেব ত্রিদিবের পতি
বাসব, স্মরিলা চিত্ররথে মহারথী।
অগ্রসরি করযোড়ে নমিলা দেবেশে
চিত্ররথ; আশীর্ব্বাদি কহিলা সুমতি
বজ্রপাণি, “এ দিকপালগণ সহ আমি
প্রবেশিব ব্রহ্মপুরে; রক্ষা কর, রথি,
দেবকুলাঙ্গনা যত দেবেশ্বরী সহ।”
বিদায় মাগিয়া পুরন্দর সুরপতি
শচীর নিকটে, সহ ভীম প্রভঞ্জন,
শমন, তপনসুত, তিমিরবিলাসী,
ষড়ানন তারকারি, দুর্জ্জয় প্রচেতা,