বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
মধুসূদন-গ্রন্থাবলী
৫৩৮—৫৬৭

পাবক নিস্তেজ যথা বারি-ধারা-বলে;
আইলেন সুচনী—মধুর-ভাষিণী;
আইলেন যক্ষেশ্বরী মুরজা সুন্দরী,
কুঞ্জরগামিনী; আইলেন কামবধু
রতি হায়! কেমনে বর্ণিব অল্পমতি
আমি ও রূপমাধুরী,—ও স্থির যৌবন,
যার মধুপানে মত্ত স্মর মধুসখা
নিরবধি? আইলেন সেনা সুলোচনা,
সেনানীর প্রণয়িনী—রূপবতী সতী!
আইলা জাহ্নবী দেবী—ভীষ্মের জননী;
কালিন্দী আনন্দময়ী, যাঁর চারু কূলে
রাধাপ্রেম-ডোরে-বাঁধা রাধানাথ, সদা
ভ্রমেন, মরাল যথা নলিনীকাননে!
আইলা মুরলা সহ তমসা বিমলা—
বৈদেহীর সখী দোঁহে;—আর কব কত?
অগণ্য সুরসুন্দরী, ক্ষণপ্রভা-সম
প্রভায়, সতত কিন্তু অচপলা যেন
রত্নকান্তিছটা, আসি বসিলা চৌদিকে;
যথা তারাবলী বসে নীলাম্বরতলে
শশী সহ, ভরি ভব কাঞ্চন বিভাসে!
বসিলেন দেবীকুল শচীদেবী সহ
রতন-আসনে; হায়, নীরব গো আজি
বিষাদে! আইলা এবে বিদ্যাধরী-দল।
আইলা উর্ব্বসী দেবী,—ত্রিদিবের শোভা,
ভব-ললাটের শোভা শশিকলা যথা
আভাময়ী। কেমনে বর্ণির রূপ তব,
হে ললনে, বাসবের প্রহরণ তুমি
অব্যর্থ! আইলা চারু চিত্রলেখা সখী,
বিশালাক্ষী যথা লক্ষ্মী—মাধব-রমণী।
আইলেন মিশ্রকেশী,—যাঁর কেশ, তব,