বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৬১).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
মধুসূদন-গ্রন্থাবলী
৫৮—৮৭

নারে প্রবেশিতে, যথা বিষাক্ত ভুজগ
মহৌষধাগারে। হেথা জিতেন্দ্রিয় সবে,
ব্রহ্মার_নিসর্গধারী, নদচয় যথা
লভয়ে ক্ষীরতা বহি ক্ষীরোদ সাগরে!
হেরি সুনগর কান্তি, ভ্রান্তিমদে মাতি,
ভুলিলা দেবেশ-দল মনের বেদনা
মহানন্দে! ফুলবনে প্রবেশিয়া, কেহ
তুলিলা সুবর্ণফুল; কেহ, ক্ষুধাতুর,
পাড়িয়া অমৃতফল ক্ষুধা নিবারিলা;
কেহ পান করিলা পীযূষ-মধু সুখে;
সঙ্গীত-তরঙ্গে কেহ কেহ রঙ্গে ঢালি
মনঃ, হৈম তরুমূলে নাচিলা কৌতুকে।
এইরূপে দেবগণ ভ্রমিতে ভ্রমিতে
উত্তরিলা বিরিঞ্চির মন্দির-সমীপে
স্বর্ণময়; হীরকের স্তম্ভ সারি সারি
শোভিছে সম্মুখে, দেবচক্ষু যার আভা
ক্ষণ সহিতে অক্ষম! কে পারে বর্ণিতে
তাঁহার সদন, বিশ্বম্ভর সনাতন
যিনি? কিম্বা কি আছে গো এ ভবমগুলে
যার সহ তাহার তুলনা করি আমি?
মানব-কল্পনা কভু পারে কি কল্পিতে
ধাতার বৈভব—যিনি বৈভবের নিধি?
দেখিলেন দেবগণ মন্দির-দুয়ারে
বসি সুকনকাসনে বিশদবসনা
ভক্তি—শক্তি-কুলেশ্বরী, পতিতপাবনী,
মহাদেবী। অমনি দিক্‌পাল-দল নমি
সাষ্টাঙ্গে, পূজিলা মার রাঙা পা দুখানি!
“হে মাতঃ,”—কহিলা ইন্দ্র কৃতাঞ্জলিপুটে—
“হে মাতঃ, তিমিরে যথা বিনাশেন ঊষা,
কলুষনাশিনী তুমি! এ ভবসাগরে