পাতা:তীর্থরেণু.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু

বৃন্তে বৃন্তে ধূপাধার সম ফুলগুলি ফেলে শ্বাস,
শিহরি’ গুমরি’ বাজিছে বেহালা যেন সে ব্যথিত মন;
সান্দ্র-ফেনিল মূর্চ্ছা-শিথিল নৃত্য-আবর্ত্তন!
সুন্দর-ম্লান, বেদী, সুমহান্ সীমাহীন নীলাকাশ।

শিহরি’ গুমরি’ বাজিছে বেহালা যেন সে ব্যথিত মন,
অগাধ আঁধার নির্ব্বাণ-মাঝে নাহি পাই আশ্বাস;
সুন্দর-ম্লান বেদী সুমহান্ সীমাহীন নীলাকাশ,
ঘনীভূত নিজ শোণিতে সূর্য্য হ’য়েছে অদর্শন!

অগাধ আধার নির্ব্বাণ মাঝে নাহি পাই আশ্বাস,
ধরার পৃষ্ঠে মুছে গেছে শেষ আলোকের লক্ষণ;
ঘনীভূত নিজ শোণিতে সূর্য্য হয়েছে অদর্শন,
স্মৃতিটি তোমার জাগিছে হৃদয়ে, পড়িছে আকুল শ্বাস।

বদ্‌লেয়ার।


নীরব প্রেম

পাপিয়ার তান না ফুরাতে, রবি, সহসা যেমন ক’রে
নিষ্প্রভ করি’ দ্যায় রশ্মিতে মন্থর শশধরে,
তেমনি করিয়া, সূর্য্যের মত উজ্জ্বল তব রূপ,
কণ্ঠ আমার করেছে হরণ; গান একেবারে চুপ!

৬১